অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় “গতি” সোমালিয়ার কাছে দুর্বল হয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে।

নতুন দিল্লী, ২৩ নভেম্বর,২০২০: সাইক্লোন ওয়ার্নিং ডিভিশন, ন্যাশনাল ওয়েদার ফোরকাস্টিং সেন্টার এবং নতুন দিল্লির আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে যে, বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম এবং তদসংলগ্ন দক্ষিনে পুডুচেরি থেকে ৬০০ কিলোমিটার এবং চেন্নাই থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে একটি গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে।

এর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় প্রবল ঘূর্ণি ঝড়ের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে করাইকল ও মামাল্লাপুরাম হয়ে আগামী ২৫ নভেম্বর দুপুরের মধ্যে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূলে আছড়ে পড়বে।এই নিম্নচাপের প্রভাবে ২৩ দক্ষিণ ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়াও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি এবং প্রবল ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত তামিলনাডু, পুদুচেরি ও করাইকল প্রভৃতি অঞ্চলে। অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণ সমুদ্র উপকূল এবং রায়ালাসিমা ও তেলেঙ্গানায় ২৫ থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
তামিলনাডু এবং অন্ধপ্রদেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে বৃষ্টির পাশাপাশি প্রবল ঝড়ের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ওইসব অঞ্চলে ২৩ নভেম্বর থেকেই ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার এবং পরবর্তীকালে ৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ঝড়ের গতিবেগ আরও বেড়ে ৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আগামী ২৪ শে নভেম্বরের পর সমুদ্র উপকূলবর্তী কোন কোন স্থানে ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হবে। বিশেষ করে তামিলনাডু, মান্নার এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে।প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা ইতিমধ্যে সমুদ্রে মাছ ধরতে গেছেন তাদের ফিরে আসতে বলা হয়েছে।