ইণ্ডাস্ট্রি থেকেই কাঁটছাঁট হয়ে মেডিক্যালে, ইণ্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেনই এখন ভরসা শিল্পাঞ্চলের মূমূর্ষু রোগীদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা ১২ই মে ২০২১ আসানসোল :- পশ্চিম বর্ধমানে করোনায় শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত অক্সিজেনের। শিল্পাঞ্চলে অক্সিজেনের যোগান থাকলেও অমিল সিলিণ্ডার। জেলায় বার্নপুর ইস্কো ও দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের পাশাপাশি বেসরকারি অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলি সারাবছর ধরে ইণ্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেন প্রোডাকশন করলেও এখন কোভিড পরিস্থিতিতে সেই অক্সিজেন সাপ্লাই করা হচ্ছে সরকারি- বেসরকারি হাসপাতাল ও হেলথসেন্টারগুলিতে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গাড়ির লাইন পড়ে যাচ্ছে কারখানাগুলির বাইরে। এমনকি সাধারণ মানুষও ভিড় জমাচ্ছেন কারখানার বাইরে অক্সিজেনের জন্য। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, সিলিণ্ডার আনলে তবেই মিলবে অক্সিজেন। প্রয়োজন পড়লে তাঁরা বিনামূল্যে অক্সিজেন সাপ্লাই দিতেও প্রস্তুত কিন্তু সঙ্গে আনতেই হবে সিলিণ্ডার।

রূপনারায়ণপুরের বেঙ্গল অক্সিজেন কারখানার ম্যানেজার আর কে ঝার দাবি, এই রাজ্যে অক্সিজেন সিলিণ্ডার তৈরি হয় না। সিলিণ্ডার প্রস্তুত হয় গুজরাট ও মুম্বাইয়ে কিন্তু সেখানে সঙ্কট রয়েছে অক্সিজেনের। আবার বাংলায় রয়েছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন প্ল্যান্ট। বিশেষ করে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের অক্সিজেন কারখানাগুলি থেকে জেলার হাসপাতাল ছাড়াও অক্সিজেন যাচ্ছে পাশের জেলা ও রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও। জেলাশাসকের নির্দেশে ইণ্ডাস্ট্রির জন্য বরাদ্দ অক্সিজেন কাঁটছাট করে পাঠানো হচ্ছে মেডিক্যালের জন্য। শুধুমাত্র জেলাপ্রশাসনের জন্য দৈনিক ২৫০ টি করে সিলিণ্ডার বরাদ্দ রয়েছে ওই কারখানা থেকে। ইসিএলের সেন্ট্রাল হাসপাতাল বা সাঁকতোড়িয়া থেকে আসা স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি, প্রতিদিন ৫০ টি করে অক্সিজেন লাগছে হাসপাতালে। সেই যোগান পাচ্ছেন ইণ্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেন কারখানা থেকে। এখানে বি টাইপ সিলিণ্ডার নেই। তবু বড় সিলিণ্ডার দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে।


উল্লেখ্য, জেলাজুড়ে কোভিড আক্রান্ত্রের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৮ হাজার। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ২২৫। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। এই পরিস্থিতিতে মূমূর্ষ করোনা রোগীর জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত অক্সিজেনের। আর ইণ্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেনের ৮ লিটার ও ৫ লিটারের সিলিণ্ডারই এখন ভরসা মেডিক্যালের জন্য।