শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের বিজেপি প্রার্থী ইশতেহার প্রকাশ করেছেন

ইশতেহার

শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের বিজেপি প্রার্থী ইশতেহার প্রকাশ করেছেন। শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী অমৃত পোদ্দার তার ইশতেহার প্রকাশ করেছেন। তিনি জিতলে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে কি কি কাজ করবেন তা বড় বড় ব্যানার ছাপিয়ে তুলে ধরেছেন ।

 

সেই ব্যানারের গুলো ৩৭নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে লাগানো হয়ছে। সেই ইশতেহার প্রকাশের মধ্যে সবচেয়ে নিচে ২৪  নম্বর লেখা রয়েছে রাতের বেলায় ঘোগোমালী মাঠে সমাজ বিরোধীদের আড্ডা বন্ধ করতে পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা করা হবে। এই লেখাটা লিখতে ঘুঘুমারি মাঠের বেশ কিছু যুবক তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। তারা বিক্ষোভ করে বলেন। এবারের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী প্রার্থী অমৃত পদ্দার দাদা যা লিখেছেন কাদের ঘোগোমালী মাঠে সমাজ বিরোধী বলছেন আমাদের কে?

 

ছোট থেকে এই ঘুঘুমারি মাঠে খেলাধুলা করে বড় হলাম সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই মাঠে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা হয়। রাতের বেলা আমরা কাজ করে বা পড়াশোনা করে এসে খেলাধুলা করতে আসি তাই বলে কি আমরা এই মাঠের সমাজবিরোধী হয়ে গেলাম। দাদা আমাদের সমাজ বিরোধী বলেছেন, দাদা কে আমরা বলতে চাই কোনদিনকী মাঠে এসেছে। কোন খেলা আমাদের সাথে খেলেছে আমাদের ভালোমতো চিনেন না অমৃত দা। তাহলে স্থানীয় ছেলেরা কি সমাজবিরোধী হয়ে গেল।

 

আর ও পড়ুন    বড় দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলো দত্তপুকুর লোকাল

 

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন প্রায় ৩০ বছর ধরে এখানে বসবাস করি। এই ঘুঘুমারি মাঠে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন খেলাধুলা হয়। বিভিন্ন জায়গায় থেকে ছেলেমেয়েরা আসে এই মাঠে খেলাধুলার প্রশিক্ষণ নিতে। আমাদের চোখে কোনদিন পড়েনি রাত-বিরাতে এই মাঠে কোন ছেলেরা আড্ডা মারতে। রাতে বেলায় এলাকার ছেলেরা খেলাধুলা করতে আসে। তারাই এই মাঠটাকে দেখে রাখে এবং সযত্নে রাখে। যদি এবারের বিজেপি প্রার্থী অমৃত পদ্দার লিখে থাকে ঘোগোমালি মাঠে সমাজবিরোধীর দের আনাগোনা তাহলে তার এই মাঠের সম্বন্ধে কোনো ধারণা নেই।

 

এদিকে এবারে  ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী অমৃত পর্দার বলেন মাঠের সুবিধার্থে জন্য এই লেখাটা লেখা রয়েছে। তাছাড়াও মাঠের আশপাশে যে সকল স্থানীয় বাসিন্দা রয়েছে তাদের কাছে ভোট প্রচারে করতে গেলে তারাই আমাদের বলেছেন রাতেই এই মাঠে নেশার আসর বসে পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা থাকলে তাহলে বহিরাগত বা সমাজবিরোধীদের আড্ডা বন্ধ হয়ে যাবে। আমার মনে হচ্ছে কোন সাধারণ বাচ্চাদের কথা নয় এর পিছনে কোনো রাজনৈতিক দলের কথা শুনে ওরা বলছে।