সুন্দরবনে অনলাইন ক্লাসে উপস্থিতি নগণ্য, পঠন-পাঠন চালু রাখতে গাছ তলাই ভরসা শিক্ষকদের

উপস্থিতি

সুন্দরবনে অনলাইন ক্লাসে উপস্থিতি নগণ্য, পঠন-পাঠন চালু রাখতে গাছ তলাই ভরসা শিক্ষকদের। বিশ্বভারতীর কবিগুরুর ছাতিমতলার ছায়া এবার সুন্দরবনে।  ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সুন্দরবনের বাসিন্দারা  স্মার্টফোন কিনতে সক্ষম নয়, কি করে চলবে অনলাইন ক্লাস? করোনা মহামারীর জেরে বিগত দু’বছর ধরে একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে রয়েছে সারা বিশ্ব। দেশের সাথে সাথে রাজ‍্যেও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। আর এই মহামারীতে সবথেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। দীর্ঘ প্রায় দু’বছর ধরে স্কুল ঠিকঠাক করে খোলেনি।

 

তাই শিক্ষার্থীদের কাছে অনলাইন ক্লাসই ছিল একমাত্র ভরসা। দেখা গিয়েছে শহর কেন্দ্রিক ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইন ক্লাসর সুবিধা স্মার্টফোনের মাধ্যমে উপভোগ করলেও; অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল প্রত্যন্ত সুন্দরবনের শিক্ষার্থীরা। কারণ স্মার্টফোনের অভাব। এই সুন্দরবন অঞ্চলে গত দু’বছরে আম্ফান ও ইয়াশের মতো ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। পাশাপাশি একাধিক নিম্নচাপ ও ভরা কোটালের বিপর্যস্ত হয়েছে সুন্দরবনের দ্বীপ গুলি।

 

সেখানে জীবন যুদ্ধে লড়াই করে বেঁচে থাকাই এক প্রকার দায়, তো স্মার্টফোন তো অনেক দূরের কথা। সেই সমস্যার কথা বুঝতে পেরে এবার গাছ তলাতেই শিক্ষাদানের ব্যবস্থা শুরু হলো বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জে। কনকনগর এস.ডি. ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক পুলক রায় চৌধুরীর উদ্যোগে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের চারটি কেন্দ্র অর্থাৎ বাঁকড়া, কনকগর, কাঠাবাড়ি মোড় ও ১১নং সান্ডেলেরবিলে ছাত্রছাত্রীদেরকে নিয়ে গাছতলায় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হলো।

 

আর ও পড়ুন   বেলুড় মঠে পালিত হচ্ছে স্বামী বিবেকানন্দের ১৬০তম জন্মোৎসব

 

ইতিহাস, অঙ্ক, বিজ্ঞান ও শারীর শিক্ষা সহ একাধিক বিষয়ের শিক্ষকরা গাছ তলাতেই তাদের শিক্ষা প্রদান করছেন। সে যেন বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রনাথের ছাতিমতলার এক টুকরো প্রতিচ্ছবি। যদিও সুন্দরবনের যে সমস্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্মার্ট ফোন কিনে দিতে সক্ষম হচ্ছেন সেখানেও আরেক সমস্যা কাজ করছে। তা হলো সুন্দরবনের দুর্বল নেটওয়ার্ক। যার জেরে ভিডিও কলে অনলাইন ক্লাস করা যথেষ্ট দুরূহ হয়ে ওঠে। তাই এই দুই সমস্যা সমাধানে গাছতলার এই নতুন শিক্ষাদানে খুশি সুন্দরবনের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবকরাও।

 

উল্লেখ্য, সুন্দরবনে অনলাইন ক্লাসে উপস্থিতি নগণ্য, পঠন-পাঠন চালু রাখতে গাছ তলাই ভরসা শিক্ষকদের। বিশ্বভারতীর কবিগুরুর ছাতিমতলার ছায়া এবার সুন্দরবনে।  ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সুন্দরবনের বাসিন্দারা  স্মার্টফোন কিনতে সক্ষম নয়, কি করে চলবে অনলাইন ক্লাস? করোনা মহামারীর জেরে বিগত দু’বছর ধরে একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে রয়েছে সারা বিশ্ব। দেশের সাথে সাথে রাজ‍্যেও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। আর এই মহামারীতে সবথেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা।

 

দীর্ঘ প্রায় দু’বছর ধরে স্কুল ঠিকঠাক করে খোলেনি। তাই শিক্ষার্থীদের কাছে অনলাইন ক্লাসই ছিল একমাত্র ভরসা। দেখা গিয়েছে শহর কেন্দ্রিক ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইন ক্লাসর সুবিধা স্মার্টফোনের মাধ্যমে উপভোগ করলেও; অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল প্রত্যন্ত সুন্দরবনের শিক্ষার্থীরা। কারণ স্মার্টফোনের অভাব। এই সুন্দরবন অঞ্চলে গত দু’বছরে আম্ফান ও ইয়াশের মতো ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। পাশাপাশি একাধিক নিম্নচাপ ও ভরা কোটালের বিপর্যস্ত হয়েছে সুন্দরবনের দ্বীপ গুলি।