করোনায় মারা গিয়েছেন স্ত্রী, কোমা থেকে উঠে শোনার পর বাঁচলেন না আর স্বামী

১৪ মে, কোমা থেকে উঠে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে বাঁচার শেষ ইচ্ছা হারালেন ৬৯ বছরের লরেন্স।স্ত্রী মিনেটের মৃত্যুর ৮ দিন পর মারা যান লরেন্স।আমেরিকার মেরিল্যান্ডের মাউন্ট এয়ারির প্লেসান্ট ভিউ নার্সিং হোমে নার্সিং অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন লরেন্স। এলাকার ৯৫ জন বাসিন্দার মধ্যে ৮৪ জনের করোনা ধরা পড়ে। শুশ্রুষা করতে করতে আক্রান্ত হয় লরেন্সও। ৩০ মার্চ তাঁকে ক্যারল হসপিটাল সেন্টারে ভর্তি করা হয়, পাঠানো হয় ইনকিউবেটরে। কোমায় চলে গিয়েছিলেন। বাঁচার আশা ছিল না।কিন্তু এক সপ্তাহর মত কোমায় থাকার পর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় তাঁর। নিজে নিজেই শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে শুরু করেন তিনি। জ্ঞান ফিরে আসার পর লরেন্স প্রথমেই জিজ্ঞাসা করেন তাঁর স্ত্রী মিনেটের কথা। মিনেটের সঙ্গে ২৪ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়।

চিকিৎসকেরা প্রথমে জানাতে না চাইলেও পরে জানাতে বাধ্য হয় যে তার স্ত্রী মারা গেছেন।তাঁর ৭২তম জন্মদিনের ঠিক একদিন আগে, ৭ এপ্রিল ঘুমের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মিনেট মারা যান।মৃত্যুর পর পরীক্ষায় দেখা যায়, করোনা হয়েছিল তাঁরও।খবর শুনে শোকে ভেঙে পড়ে লরেন্স।সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শরীর অসুস্থ হতে শুরু করে, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। চিকিৎসা কর্মীদের তিনি বলেন, আর তিনি কোনওরকম ওষুধপত্র নেবেন না, এ ব্যাপারে সই করার কাগজপত্র চেয়ে পাঠান। বলেন, হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে। ৫ দিন ধরে ছেলেমেয়ে, নাতি নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটান লরেন্স। এমনকী বারবার ক্ষমাও চান তাঁদের কাছে, কারণ স্ত্রীর অসুস্থতার দায় এড়াতে পারছিলেন না তিনি।

সব কাজ শেষে মিনেটের মৃত্যুর ৮ দিন পর মারা যান লরেন্সও। তিনি যে নার্সিংহোমে কর্মরত ছিলেন, তাঁকে নিয়ে সেখানকার ১১ জন কর্মীর করোনায় মৃত্যু হল।