করোনা আবহে খাদ্যসচিবের পর এবার অপসারিত রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, বিতর্ক তুঙ্গে

১২ মে, কোভিড সংকটের মধ্যেই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দফতরের সচিব বদল করল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসচিব পদ থেকে সরে গেলেন বিবেক কুমার, তাঁর জায়গায় এলেন পরিবহন দফতরের মুখ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম৷ করোনা পরিস্থিতি চলাকালীন স্বাস্থ্যসচিবের কাজে খুশি নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ করোনা সংক্রমণের সময় যে ভাবে চিকিৎসক একের পর এক স্বাস্থ্যকর্মী সংক্রমিত হয়েছেন ও তাঁদের যেভাবে মৃত্যু হয়েছে তাতে একেবারেই অখুশি মুখ্যমন্ত্রী৷দেশ তথা রাজ্যজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত।এমন পরিস্থতিতে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

করোনা সংকটের শুরুতেই এ রাজ্যের খাদ্যসচিব মনোজ আগরওয়ালকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গণবন্টন ব্যবস্থায় অনিয়মের অভিযোগের জেরেই মনোজ আগারওয়ালকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায়।প্রথম থেকে করোনার বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তোলা হলেও, গত কয়েকদিনে রাজ্যে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের পরিসংখ্যান না-মেলার অভিযোগ উঠেছিল। মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যভবন বিষয়টি দেখছে। এ ছাড়াও বিবেক কুমারের সঙ্গে নানা মতের পার্থক্যও দেখা দিয়েছিল বলে খবর। এ সবের কারণেই বিবেক কুমারকে স্বাস্থ্যসচিবের পদ থেকে সরানো হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।তাই সরানো হল রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে, সরিয়ে দেওয়া হল স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমারকে৷ বিবেক কুমারকে সরানো হল পরিবেশ দফতরে৷

গত ৩০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিবকে বিবেক কুমার একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তাতে করোনা সংক্রান্ত তথ্যে বিস্তর গরমিলের একটা ছবি ধরা পড়ে।দেখা যায়, সে দিন পর্যন্ত বাংলায় যতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের বুলেটিনে বলা হয়েছে, তার তুলনায় আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। এর পরেই বিরোধীরা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়। বিজেপি থেকে শুরু করে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সকলেই রাজ্যের বিপক্ষে বিরোধিতার সুর চড়া করতে থাকেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এই বদল কিনা, তা নিয়ে একটা সন্দেহ থেকেই যায়।