কাজ হারানো অসংগঠিত শ্রমীকদের পরিবারের পাশে দাড়ালো ‘ভারত সেবাশ্রম’

নিজস্ব সংবাদদাতা, নদীয়া, ৫ মে, করোনায় কাজ হারানো অসংগঠিত শ্রমীকদের পরিবারের পাশে দাড়ালো ‘ভারত সেবাশ্রম’। মারন ভাইরাসের আতঙ্কের কারনে নদীয়া জেলার বহু অসংগঠিত শ্রমীক বেকার। তাদের দুবেলা দুমুঠো খাবারের সংস্থান করতে গিয়ে ঘুম চলেগিয়েছে। সেইসব অসংগঠিত শ্রমীক ও ভবঘুরেদের মুখে দুটো অন্নতুলে দেবার জন্য দিবারাত্রী পরিশ্রম করছেন ভারতসেবাশ্রমের সন্ন্যাসীরা। মঙ্গলবার নদীয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগড় শহরে দু:স্থ ও অসংগঠিত শ্রমিকদের পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিলেন ভারতসেবাশ্রমের সন্ন্যাসী ও স্বেচ্ছাসেবকরা। এদিন দুপুরে কৃষ্ণনগড় জেলখানার মাঠে তাদের হাতে রান্নকরা খাবার তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া শহরের বাগদিপাড়া, রাধানগড়, ঘূর্নী হালদারপারা সহ একাধিক জায়গায় রান্না করা খাবার বিতরন করেন আশ্রমের স্বেচ্ছাসেবকরা। ভাত, ডাল, সব্জী দেওয়াহয় শহরের দু:স্থ মানুষদের মধ্যে।

এদিন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কৃষ্ণনগড় শহরে এভাবেই খাবার বিতরন করাহবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার ভারতসেবাশ্রমের মুখ্যকার্যালয়ের প্রতিনিধি স্বামী দিব্যজ্ঞানানন্দ। তিনি বলেন, ভারতসেবাশ্রমের মূল কথা মানুষের ষেবা করো। মানুষকে ভালোবাসা। করোনার সময় মানুষ অসহায় হয়ে পরেছে। এইসময় আশ্রম মানুষের পাশে দাঁড়াতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সেবার কাজে ব্রতী হয়েছে। আমরাও এদিন কৃষ্ণনগড় শহরের হিন্দু মিলন মন্দিরে মানুষের সেবায় নিয়জিত হয়েছি। ভারতসেবাশ্রম তার সাধ্যদিয়ে এই শহরের মানুষের মধ্যে অন্ন তুলে দেবার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান স্বামী দিব্যজ্ঞানানন্দ। তিনি আরও জানান শুধু কৃষ্ণনগড় শহর নয়, নদীয়ার প্রাচিন শহর নবদ্বীপেও তারা খাবার বিতরন করবেন। এছাড়াও নবদ্বীপ লাগোয়া পূর্ববর্ধমানের একাধিক স্থানে খাবার বিতরন করাহবে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শহরে মানুষের মুখে অন্নতুলে দিতে সকাল থেকেই অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন গৌতম চম্পটি সম্পাদক, কৃষ্ণনগড় হিন্দু মিলন মন্দির ও বিশিষ্ট সমাজসেবি শুভ্রকান্তি দত্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।