কি মজা! আলু খেতে ভারি মজা…

রায়া সাধু, কোলকাতাঃ আলু মাখা থেকে শুরু করে আলু পোস্ত কিংবা ভাজা, নয়তো আলুর দম, বাঙালি কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন তা ঠিক করতেই হিমশিম খান। তাই বাঙালী রান্নার পদ মানেই আলু। আর সেই আলুপ্রেমীদের জন্য থাকছে আলুর নানা গুণাগুণ।
প্রথমেই, দেখে নেওয়া যাক আলুতে সাধারনত কি কি ভিটামিন থাকে? আলুতে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ সহ পটাশিয়াম, আয়রন, অ্যান্টি-অক্সাইড ফাইবার সহ প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট থাকে।

 

১) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন: আলুতে কুকোয়া মাইনাস নামে একধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা আপনার শরীরের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে সহায়তা করে।
২)হজমিকারক: অতিরিক্ত তৈলাক্ত অথবা মশলাদার খাদ্য হজম করতে সাথে রাখতেই হয় হজমিকারক কারমোজাইম। তার আর দরকার পড়বে না যদি আপনার খাদ্যতালিকায় আলুর কোনো পদ রাখেন তবেই স্বার্থক হজম। আলুতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সাইড ফাইবার থাকে যা সহজেই পরিপাকে সহায়তা করে।

 

৩)ত্বকের উপযোগী: রোদের মধ্যে ঘোরাঘুরি করার কারনে আমাদের ত্বকে কমবেশি সকলেরই সান বার্ন দেখা দেয়। আলু বেঁটে তা প্যাকের মত সান বার্ন স্থানে লাগালে তা বেশ কার্যকরী হয়।
৪) মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ: আলুতে ভিটামিন বি-৬ আছে যা মন ভালো রাখার কার্যকরী দুটি উপাদান সেরেটোনিন ও ডোপামিন নামক নিওট্রান্সমিটার, এটি মস্তিষ্কে অনুভুতির আদান প্রদান করে, সাথে মানসিক চাপ কমিয়ে মস্তিষ্ককে সচল ও কার্যক্ষম করে তোলে।

 

পরিসংখ্যান আনুযায়ী রাজ্যে এবছর বার্ষিক আলুর উৎপাদন অত্যন্তই বেশি। আর তাছাড়া বাজারদর খুবই সস্তা এই বারোমেসে সব্জীর। তাই একপ্রকার খুশি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার বলেই দিলেন “বেশি করে আলু খান”।