গবাদি পশু থেকে সংক্রমিত হচ্ছে ভাইরাস, আতঙ্কে ভারত সহ গোটা বিশ্ব

২৪ জানুয়ারি, আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়িয়ে চিনের বাইরে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে ‘করোনা’ ভাইরাস। এর আগেই চিনের বাইরে থাইল্যান্ড ও জাপানে তিন জনের সংক্রমণের খবর মিলেছিল।গত বুধবার ২২ জানুয়ারি এ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘‌হু’‌ বৈঠক করেছে সুইজারল্যান্ডের জেনিভায়।ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে প্রকাশিত হয়েছে একটি প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিন-সহ বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মূল উৎসই হচ্ছে বিষধর চিনা সাপ ক্রেইট এবং কোবরা সাপ। করোনা ভাইরাস বাতাসে মিশে প্রাথমিকভাবে স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখির শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ করে। এর ফলে প্রাথমিকভাবে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়।

জানা যাচ্ছে, এই ভাইরাস ধীরে ধীরে ভারতের দিকেও এর বিস্তার বাড়াচ্ছে। অর্থাৎ অন্যান্য দেশেও এর প্রকোপ ছড়াতে পারে। ‘‌হু’– এর কার্যকর্তা টেড্রস অ্যাঢানম ঘেব্রেইয়েসিস‌ জানালেন, ‘‌এখন পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। মাদের সংস্থার একটি চীনা দল ওই দেশে কাজ করছে। তাঁরা চেষ্টা করছে যাতে এই ভাইরাসের বিস্তার পাওয়ার কারণ উদ্ধার করতে পারে।নিঃশব্দেই শরীরে দানা বাঁধছে এই মারণ রোগ।এছাড়া লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের এমআরসি সেন্টার ফর গ্লোবাল ইনফেকশাস ডিজিজ অ্যানালাইসিস জানিয়েছে, এক মাসের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭১ আর মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৭।

ভারতের নয়া দিল্লিতে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়ে গিয়েছে। মানুষকে সাবধান করা হচ্ছে যাতে তাঁরা সচেতন থাকেন এই রোগ সম্পর্কে। কলকাতা বিমানবন্দর ছাড়াও আরও ছ’‌টি দেশের বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চীনা যাত্রীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তবেই শহরে স্বাগত জানানো হচ্ছে।চিন-সফরে যাওয়া ভারতীয়দের জন্য নির্দেশিকাও জারি করেছে সরকার। হাতধোয়া, শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হলে সে সংক্রান্ত আচরণবিধি মেনে চলা ও সর্বোপরি কাউকে দেখে অসুস্থ বলে মনে হলে তাঁর থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে তাতে। রান্না না করা মাংস খেতে ও খামারে যেতেও বারণ করা হয়েছে যাত্রীদের।