গৃহবধূকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠলো স্বামী সহ তার শ্বশুরবাড়ি লোকেদের বিরুদ্ধে

উত্তর দিনাজপুর:- এক গৃহবধূকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠলো স্বামী সহ তার শ্বশুরবাড়ি লোকেদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগরের কালীবাড়ি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধুর নাম সীমা দাস(২৫)। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় স্বামী, শ্বশুর,শাশুড়ী ও ভাসুরকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। এই ঘটনায় মৃত ওই গৃহবধুর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ি লোকেদের বিরুদ্ধে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগরের কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রাজু দাসের সাথে সীমা দাসের চার বছর আগে বিয়ে হয়। সীমাদেবী একটি কন্যা সন্তানকে জন্ম দেয়। মাস তিনেক ধরে সীমাদেবীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতে থাকে স্বামী রাজু দাস সহ তার শ্বশুরবাড়ি লোকেরা। এমনই সীমাদেবীকে তার বাবার কাছ থেকে টাকা আনার কথাও বলে স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ি লোকেরা। টাকা না আনায় তার উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার করতো বলে অভিযোগ। এদিন রাতে সীমাদেবীর পরিবারের সদস্যদের খরব দেওয়া হয় সীমা অসুস্থ হয়ে পরে রয়েছে। একথা শুনে সীমার পরিবারের সদস্য ছুটে এসে দেখে সীমার ঝুলন্ত মৃতদেহ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পাশাপাশি ছুটে আসে পাড়াপ্রতিবেশিরা। সীমাদেবীর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় স্বামী রাজু দাস সহ শ্বশুর, শাশুড়ী ও ভাসুরকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।মৃতার ভাসুর রাজ্য পুলিশের সহকারী সাব ইন্সপেক্টরের পদে রায়গঞ্জ ট্র্যাফিক পুলিশে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।।সীমা দাসের দাদা দীবেন্দু দাস জানিয়েছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমার বোনকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমার বোনের উপর স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ি লোকেরা বিভিন্নভাবে অত্যাচার করতো বলে অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি দীবেন্দুবাবু আরও বলেন যারা আমার বোনকে খুন করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।