তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও

গ্রেপ্তারের

তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও। পথ দুর্ঘটনা সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয় নিয়ে এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ঘেরাও এবং শাসকদলের বিধায়কের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো দলেরই একাংশের কর্মী-সমর্থকেরা।

 

বুধবার দুপুরে এই ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন , এই দাবীতে এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় মালিওর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুয়াঘাট এলাকার বাসিন্দারা। থানা ঘেরাও এর পাশাপাশি এদিন শাসক দলের বিধায়ক তাজমুল হোসেনের দলীয় কার্যালয়ে পর্যন্ত ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের সমর্থক গ্রামবাসীরা।

 

বিক্ষোভকারী তৃনমূল কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, মহম্মদ আবদুল্লা নামের এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করতে হবে। অভিযোগ তৃণমূলেরই ব্লক স্তরের কিছু নেতা কর্মী অভিযুক্ত আবদুল্লাকে আড়াল করছে। আশ্রয় দিচ্ছে। গত এক সপ্তাহ আগে বুধবার মালিওরে একটি বাইক দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয় মহম্মদ আলমগীর নামে এক তৃণমূল কর্মীর। তিনি মালিওর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত শিশাতলা এলাকায় একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

 

আচমকা একটি বাইক এসে তাঁকে সজোরে ধাক্কা মারে। মৃত্যু হয় আলমগীরের। বাইক চালক ছিল আর এক তৃণমূল কর্মী  মহম্মদ আবদুল্লা। তাঁর বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন আলমগীরের স্ত্রী তারাফুল বিবি। আলমগীর নিজে দিনমজুর। দারিদ্র্যতা সঙ্গী। আলমগীরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এদিকে আলমগীরের স্ত্রী আবার অন্তঃসত্ত্বা।

 

আর ও পড়ুন    ভিন রাজ্যে রপ্তানি হচ্ছে মালদার নবাবগঞ্জের বেগুন

 

আলমগীরের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর মালিওর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বালুয়াঘাট গ্রামে। এই অবস্থায় তৃণমূলেরই একাংশের অভিযোগ পুলিশ এই বিষয়ে প্রায় নিস্ক্রিয়। আবদুল্লাকে গ্রেফতার করেনি। বুধবার সে কারণেই আবদুল্লাকে গ্রেফতারের দাবিতে থানা ও তৃণমূলের হরিশ্চন্দ্রপুর কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভে তৃণমূল নেতা কর্মীদেরই একটা বড় অংশ। যদিও এই বিষয়ে গোষ্ঠী কোন্দল মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।

 

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক জম্বু রহমান এবং বুলবুল খান। তারা বিক্ষোভকারী ওই তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন। আশ্বস্ত করেন অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ তুলে নেয়।