ফের অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ পাওয়া গেল লালগড়ের জঙ্গলে

ছাপ

ফের অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ পাওয়া গেল লালগড়ের জঙ্গলে।  মেদিনীপুর বন বিভাগের অধীন বন দফতরের লালগড় রেঞ্জের লক্ষনপুর, কুমিরকাতা, কন্যাবালির পর এবার গঙ্গাদাসপুরের জঙ্গলে একটি জলাশয়ের ধারে পাওয়া গেল অজানা জন্তুর একাধিক পায়ের ছাপ।

 

শুক্রবার কন্যাবালির জঙ্গল থেকে একটি ছাগলের ও ভেড়ার ক্ষত বিক্ষত দেহাংশ পাওয়ার পরেই শনিবার সকাল থেকেই বনদপ্তরের পক্ষ থেকে কর্মীদের দিয়ে আরো জোর কদমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। এলাকায় যে সমস্ত জায়গায় পায়ের ছাপ পাওয়া যাচ্ছে সেই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা জন্য পাঠানো হচ্ছে।

 

সেই সঙ্গে  বনদপ্তরের কর্মীরা তাদের দপ্তরের গাড়িতে জাল খাঁচা সহ অন্যান্য জিনিষ পত্র মজুত রাখা হয়েছে। বন দপ্তরের এক কর্মী সজল মাহাতো জানান গঙ্গাদাসপুর এর জঙ্গলে থাকা একটি পুকুরে অজানা জন্তুটি জল খেতে এসেছিল।পুকুরের পাড়ে একাধিক পায়ের ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। তাই বনদপ্তর এর পক্ষ থেকে এই এলাকায় অজানা জন্তু টি কে ধরার জন্য জাল পাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

শনিবার বনদফতর এর পক্ষ থেকে গঙ্গাদাসপুরের জঙ্গলের মধ্যে থাকা পুকুরের চারিপাশে জাল পাতা হবে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে বনদপ্তর এর পক্ষ থেকে ওই এলাকার জঙ্গলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন বনদপ্তরএর কর্মী ও আধিকারিকরা। তা সত্ত্বেও স্থানীয় বাসিন্দারা বাঘের আতঙ্কে রয়েছেন। ২০১৮  সালের ঘটনার কথা তারা আজও ভুলে যায়নি। সেবারেও ঠিক একই কায়দায় গরু-ছাগলের ওপর হামলা চালিয়েছিল রয়েল বেঙ্গল টাইগার।

 

আর ও পড়ুন    টিকটিকির মতো দেখতে প্রাণীটির দাম ২৫ লক্ষ টাকা

 

পুকুরের জল খেতে পুকুরে ও গিয়েছিল। তারপরে বন দফতর জীবিত উদ্ধার করতে না পারলেও রয়েল বেঙ্গল টাইগার টিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের বাঘঘরার জঙ্গল থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে করা হয়েছিল। এভাবে দিনের পর দিন বিভিন্ন এলাকায় দেখা যাচ্ছে অজানা জন্তুর পায়ের একাধিক ছাপ । যার ফলে ওই এলাকায় বাঘের আতঙ্ক আরো বাড়ছে।

 

ওই এলাকার গ্রামবাসীদের সতর্ক করেছে বনদপ্তর । সেই সঙ্গে অযথা জঙ্গলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ এর আতঙ্কে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা গরু ছাগল আর জঙ্গলে নিয়ে যাচ্ছে না। যার ফলে তারা সমস্যায় পড়েছেন। তবে গোটা পরিস্থিতির উপর নজরদারি শুরু করেছে বন দপ্তরের কর্মী থেকে আধিকারিকরা।