ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় বিভ্রান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নদীয়া,২০ শে সেপ্টেম্বরঃ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিভিন্ন প্যাথলজি ল্যাবের পৃথক পৃথক রিপোর্ট।সূত্রের খবর,রানাঘাট মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল ও শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর রক্তে ডেঙ্গু এর জীবাণু মিলেছে এমন রোগীর সংখ্যাও প্রায় পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে।আর এর মধ্যেই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিভিন্ন ল্যাব এর রক্তের নমুনা পরীক্ষার পৃথক রিপোর্ট।অভিযোগ, রানাঘাট এর নাসরা মধ্য পল্লীর বাসিন্দা শিবানী ঘোষ গত কয়েকদিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তী হন। পরিবার এর অভিযোগ,হাসপাতালে এর ল্যাবে শিবানী দেবীর রক্ত পরীক্ষা করার পর তাতে ডেঙ্গুর জীবাণু মেলে।এবং রক্তে প্লেট এর কাউন্টিং ছিল ১৫ হাজার।অভিযোগ, এর পর ওই দিনই রানাঘাটের আরও দুটি নাম করা বেসরকারি ল্যাব থেকে ডেঙ্গু আছে কিনা তা যাচাই করতে শিবানী দেবীর রক্ত পরীক্ষা করান তার পরিবার।আর এর পরই দুই ল্যাবের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।রিপোর্ট দেখে বিভ্রান্ত হন চিকিৎসকও।অভিযোগ,হাসপাতালের ল্যাবের রিপোর্টে যেখানে প্লেট রেট এর পরিমাণ ১৫০০০ ছিল,সেখানে বেসরকারি সংস্থার দুটি রিপোর্টের একটিতে প্লেট রেট এর পরিমাণ ১ লক্ষের ও বেশি এবং একটিতে ৩৫০০০ ।এই ধরণের পৃথক রিপোর্ট একদিকে যেমন রোগীর পরিবারকে চিন্তিত করেছে তেমন বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে চিকিৎসকদের মধ্যে।যদিও রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক হাসাপাতালে হওয়া রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসা চালালেও চিন্তিত রোগীর পরিবার রোগীকে হাসপাতাল থেকে অন্যত্র নিয়ে যেতে চাইছে।পরিবারের দাবি এই ধরণের ল্যাব গুলো কি পদ্ধতিতে রক্ত পরীক্ষা করছে তার ওপর নজরদারি রাখুক স্বাস্থ্য দপ্তর।যদিও ল্যাব কতৃপক্ষের দাবি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর প্লেটরেট বিভিন্ন হতেই পারে।এতে বিভ্রান্তির কিছু নেই।