দেশে গত ৯ দিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষের নিচে

নিউজ ডেস্ক, ০৫ জুন, ২০২১ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২০ হাজার ৫২৯। বিগত ৫৮ দিনে যা কম। এর ফলে, পরপর ৯ দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষের নিচে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সহযোগিতামূলক প্রয়াসের ফলেই এই সাফল্য মিলেছে।দেশে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার কমছে। আজ এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ২৪৮। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮০,৭৪৫ টি কমেছে, যা মোট আক্রান্তের কেবল ৫.৪২ শতাংশ।


ভারতে দৈনিক ভিত্তিতে সুস্থতার সংখ্যা গত ২৩ দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় বেশ কিছুটা বেশি রয়েছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৮৯৪ জন। এমনকি, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা ৭৭,৩৬৫টি বেশি।
অতিমারির সূচনার সময় থেকে মোট আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২ কোটি ৬৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৪৯ জন সুস্থ হয়েছেন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরোগ্যলাভ করেছেন ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৮৯৪ জন। এর ফলে, সার্বিক সুস্থতার হার লাগাতার বেড়ে আজ দাঁড়িয়েছে ৯৩.৩৮ শতাংশে।দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪২১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর ফলে, মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি ১১ লক্ষ ৭৪ হাজার ১৪২। দেশে একদিকে নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাতার নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাপ্তাহিক ভিত্তিতে আক্রান্তের হার বর্তমানে ৬.৮৯ শতাংশ। অন্যদিকে, দৈনিক ভিত্তিতে আক্রান্তের হার কমে আজ হয়েছে ৫.৭৮ শতাংশ। এর ফলে, দৈনিক আক্রান্তের হার লাগাতার ১২ দিন ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে।দেশব্যাপী টিকাকরণ অভিযানে আজ পর্যন্ত ২২ কোটি ৭৮ লক্ষের বেশি কোভিড-১৯ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৩৬ লক্ষ ৫০ হাজার ০৮০ টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত পাওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত মোট ২২ কোটি ৭৮ লক্ষ ৬০ হাজার ৩১৭ টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯৯ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮৬৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী প্রথম ডোজ এবং ৬৮ লক্ষ ৪১ হাজার ৪৮০ জন কর্মী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। অন্যদিকে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রভাগে থাকা ১ কোটি ৬০ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩৪৯ জন কর্মী প্রথম ডোজ এবং ৮৬ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭৯৮ জন কর্মী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। একইভাবে, ১৮-৪৪ বছর বয়সী ২ কোটি ৫৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪৬০ জন প্রথম ডোজ এবং ১ লক্ষ ১৯ হাজার ১৩৭ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। অন্যদিকে, ৪৫-৬০ বছর বয়সী ৬ কোটি ৯৭ লক্ষ ৯৪ হাজার ১৯৪ জন প্রথম ডোজ এবং ১ কোটি ১১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৭০৫ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। এছাড়াও, ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৬ কোটি ০১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৪৭২ জন প্রথম ডোজ এবং ১ কোটি ৯১ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৫৯ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।