বিশ্বভারতীতে বিক্ষোভ, ন‍্যাকের সদস‍্যদের সামনে প্রতিবাদ

বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কে নয়া নির্দেশিকা দিল কেন্দ্র

বিশ্বভারতীতে বিক্ষোভ, ন‍্যাকের সদস‍্যদের সামনে প্রতিবাদ । বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়ন করতে বুধবার বিশ্বভারতী পরিদর্শনে আসে ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট হ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের ( ন্যাক ) এর ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল।

 

তখনই বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় পৌষমেলা বাঁচাও কমিটির সদস্যরা।বুধবার ন্যাকের সদস্যদের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে পৌষ মেলা বাঁচাও কমিটি বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি , তাদের দাবি অবিলম্বে পৌষ মেলা চালু করার নির্দেশিকা জারি করতে হবে। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পৌষমেলা শুরু করেছিলেন এলাকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের আর্থিক মান উন্নয়নের জন্য।

 

তাই সেই মেলা বন্ধ করে দিলে আর্থিক কষ্টের মধ্যে পড়বে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি পৌষ মেলা এমন একটি মেলা , যেখানে পৃথিবীর প্রতিটি কোণ থেকে মানুষ এখানে আসে পৌষমেলায় পিঠে পুলির স্বাদ নিতে। ব্যবসায়ী সুব্রত ভকত বলেন , সারাবছর এলাকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় থাকে পৌষমেলার জন্য। মেলার কদিনের বেচাকেনার ওপর নির্ভর করে সারাবছর কেমন যাবে।

 

আজ আমরা ন্যাকের প্রতিনীধি দলের সামনে বিস্বভারতীর উপাচার্যের অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে মেলা শুরু করার আবেদন করেছি। যাতে ব্যাবসায়ীদের না খেয়ে থাকতে না হয়। মূলত বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবনের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থা, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক, অধ্যাপকদের পাঠদানের পদ্ধতি , সবকিছু খতিয়ে দেখে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেবে ন্যাক।

 

আর ও পড়ুন    সুন্দরবনের বাঘ গণনার জন্য শুরু হল প্রশিক্ষণ

 

রিপোর্ট পাওয়ার পর কেন্দ্রের তরফ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বিশ্বভারতীর মান ঊর্ধ্বমুখী হবে নাকি অবনমন হবে। রিপোর্ট সন্তোষজনক হলে তবেই আগামী দিনে বিশ্বভারতীর মানোন্নয়নে মিলবে অর্থ। নচেত আর্থিক প্যাকেজ নাকচ হয়ে যাবে। তবে বিশ্বভারতীর সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে , বর্তমানে যে অচলায়তন বিশ্বভারতী জুড়ে চলছে তাতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ক্রমশ নিচের দিকেই যাবে।

 

কারণ গত দু’বছর ধরে বিশ্বভারতীতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যেভাবে বিশ্বভারতী পরিচালনা করেছে তাতে সব মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পৌষ মেলা ও দোলের মতো ঐতিহ্যবাহী উৎসব। ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকার নিয়ে প্রতিবাদ করায় তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কার করেছে বিশ্বভারতী , বিষয়টি নিয়ে মামলা করায় হাইকোর্টে , বিচারপতি মামলার শেষে রায় দিয়েছিল অবিলম্বে তিন বহিস্কৃত পড়ুয়াকে বিশ্বভারতী তে ফের পঠন পাঠনের সুবন্দোবস্ত করে দিতে হবে, কিন্তু হাইকোর্টের এই রায় কে মান্যতা দিতে অস্বীকার করেছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

 

তিন মাস গড়িয়ে গেলেও এখনও বহিস্কৃত 3 পড়ুয়াকে পঠন-পাঠনের নির্দেশ দেয় নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এমনই অভিযোগ বহিস্কৃত ছাত্র সোমনাথ সৌ এর। ইতিমধ্যে আদালতের রায় অবমাননার করেছেন উপাচার্য এমন অভিযোগে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি বহিস্কৃত পড়ুয়া। আশ্রমিক সুবোধ মিএ বলেন , বিস্বভারতী তে যা ঘটেছে তার সবটাই জানেন বিস্বভারতীর আচার্য্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপাচার্য তার সাহশে বলীয়ান হয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়েছেন। আমার তো মনে হয় ন্যাকের পক্ষে স্বচ্ছ ও নিরেপক্ষ ভাবে কাজ করা কঠিন।