পরিবারকে না জানিয়েই করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ পোড়াল হাসপাতাল

নিজস্ব সংবাদদাতা,উত্তর ২৪পরগণা,২২ নভেম্বর,২০২০:কোভিড আক্রান্ত সুস্থ রোগী কে খড়দহ বলরাম হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে এসে রোগীর পরিজনরা দেখতে পান, যাকে তারা বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে এসেছেন অনেক আশা নিয়ে, করোনা আক্রান্ত হয়ে অনেকদিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল । তাকে অনেক দিন আগে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। খড়দহ বলরাম হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত মোহিনি মোহন মুখার্জীর পরিবারের সাথে ঘটেছে এই ঘটনা । ওই পরিবারের সদস্যরা খড়দহ বলরাম সেবামন্দির হাসপাতালে এসে হতচকিত হয়ে যায়। ওই পরিবার নিজেদের রোগীকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যেতে এসে দেখেন কোভিড নেগেটিভ যে রোগীকে তাদের দেওয়া হচ্ছে, তিনি মোহিনী মোহন মুখার্জী নয় ।

চিকিৎসার পর শিবনাথ ব্যানার্জীকে ফেরত দেওয়া হচ্ছিল । হঠাৎ এই ঘটনায় হতবাক মুখার্জী পরিবারের সদস্যরা আরো জানতে পারেন, মোহিনি মোহন বাবুকে গত ১৫ নভেম্বর মৃত্যুর পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বরানগর আলম বাজার শ্মাশান ঘাটে। গত ৭ নভেম্বর মোহিনী মোহন বাবুকে বারাসাত কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল কোভিড চিকিৎসার জন্য। সেখানে মারা যান মোহিনী মোহন মুখার্জী । এদিকে বিরাটির বাসিন্দা শিবনাথ ব্যানার্জী খড়দহ বলরাম হাসপাতালে সুস্থ হয়ে উঠেছেন । তবে হাসপাতাল থেকে শিবনাথ বাবুর পরিবারকে আগেই তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল । যদিও বিষয়টি পরে স্পষ্ট হয়, এ যেন উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চেপেছে । মোহিন মোহনের বাড়ির লোককে হাসপাতাল থেকে ডাকা হয়, তাদের রোগী বাড়ি নিয়ে যাবার জন্য। তারা এসে দেখে তাদের পরিজন নয়, যে রোগী হাসপাতাল কতৃপক্ষ মোহিন মোহন মুখার্জী নামে তাদের দেওয়া হচ্ছে, তার নাম আসলে শিবনাথ ব্যানার্জী, বিরাটির বাসিন্দা। মোহিনী মোহন মুখার্জীর পরিবারের সদস্যরা হতচকিত হয়ে খড়দহ পুরসভার চেয়ারপার্সন কাজল সিনহার দারস্থ হন । এরপরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এক জনের নাম এবং আরেক জনের ফাইলে চলে যাওয়ায় এই বিপত্তি হয়েছে। খড়দহ পুরসভার পৌর প্রশাসক হাসপাতালের এই বিভ্রান্তি মেনে নিয়েছেন । তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি । যারা দোষী তাদের উপযুক্ত শাস্তি হবে ।