পাত্রীকে বাঁচাতে বাবার মৃতদেহ সৎকার না করে বিবাহ বন্ধনে পাত্র-পাত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর২৪পরগণা, ১০ ডিসেম্বর, হায়দ্রাবাদ বক্সার উন্নাও নারীরা যেখানে নির্যাতিত। অপরদিকে দেখা গেল এক অনন্য নজির।ঘটনাটি বসিরহাট মহাকুমার বাদুড়িয়া থানার উত্তর দিয়ারা গ্রামের।মঙ্গলবার ভোর রাতে (বছর ৬৫) অসিত বরণ মন্ডল হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়।বুধবার অসিত বরণ মন্ডল-এর একমাত্র ছেলের বিয়ে।সেই বিয়ে সাধারণত না হওয়ারই কথা কিন্তু মেয়ের সম্মান বাঁচাতে বিয়ে করে সৎকার করার সিন্ধান্ত নেন পরিবারের সকলের।

বছর ২৮-এর কৃষ্ণেন্দু মন্ডল পেশায় ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার। বিয়ে ঠিক হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার গড়িয়া হাটের কালিকাপুর এলাকার (বছর ২৮) মনিকা সাহার সঙ্গে। বাড়িতে সমস্ত আয়োজন প্রস্তুত। প্যান্ডেল থেকে বিয়ের সানাই ভুরি ভোজের আয়োজন সম্পন্ন। হঠাৎ সকালে খুশির পরিবারে নেমে এল দুঃখের ছায়া।সকালবেলা হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান পাত্র কৃষ্ণেন্দু বাবা অসিত বরণ মন্ডল।এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও তাঁরা বিয়ে ভঙ্গ করল না। গোটা মন্ডল পরিবার এলাকায় শিক্ষক পরিবারের হিসাবে পরিচিত। এই শিক্ষক পরিবারই সমাজকে আরও এক নতুন আলোর পথ ও শিক্ষা প্রসার নারী সমাজকে সচেতন করার জন্য তাদের এই উদ্যোগ।

এই সিদ্ধান্তে পাত্রীর বাবা জয়ন্ত কুমার সাহা ও কন্যা মনিকা সাহা পরিবারও খুশি। মৃত অসিতবরণ মণ্ডলের স্ত্রী রেখা মন্ডল তিনি এই সিদ্ধান্তকে মাথা পেতে নিয়েছেন।তিনি বলেছেন একজন নারী হয়ে আরেক নারীর সম্মান বাঁচানো আমার মূল লক্ষ্য।আমার স্বামীর শেষকৃত্য সম্পন্ন যদি দুইদিন পিছিয়ে যায় তাতে আমার কোন আপত্তি নেই।