বাংলা ভাষাকে মর্যাদা দিতে শহীদের রক্তে রাঙা হয়ে উঠেছিল ঢাকার রাজপথ

২১ ফেব্রুয়ারি, ২১শে ফেব্রুয়ারি শুক্রবার আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। পৃথিবী জুড়ে পালিত হচ্ছে এই দিন। ১৯৯৯ সালের নভেম্বর মাসে ইউনেস্কো সিদ্ধান্ত নেয় পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তারপর থেকেই প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জুড়ে এই দিনটি পালিত হয়।আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের থিম ‘উন্নয়ন, শান্তি স্থাপন ও পুনর্মিলনের জন্য দেশীয় ভাষা গুরুত্বপূর্ণ।’

বঙ্গীয় সমাজে বাংলা ভাষার অবস্থান নিয়ে বাঙালির আত্ম-অম্বেষায় যে ভাষাচেতনার উন্মেষ ঘটে, তারই হাত ধরে ১৯৪৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে পূর্ববঙ্গের রাজধানী ঢাকায় ভাষা-বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের মার্চে এ নিয়ে সীমিত পর্যায়ে আন্দোলন হয় এবং ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি তার চরম প্রকাশ ঘটে।নিজেদের মাতৃভাষাকে রক্ষা করতে পথে নামেন তাঁরা। প্রতিবাদীদের একটাই দাবি ছিল, বাংলা ভাষাকে দেশে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার ভাষার স্বীকৃতি দিতে হবে। পরিস্থিতি শোচনীয় দেখে প্রতিবাদ মিছিলে পাকিস্তানের পুলিশ গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে শহীদ হন সালাম ,রফিক, জব্বার ও বরকত। শহীদের রক্তে রাঙা হয়ে ওঠে ঢাকার রাজপথ।

এই খবর ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলন আরোও তীব্র হয়ে ওঠে এবং ২২ শে ফেব্রুয়ারী পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় মাত্র ৯ বছরের শিশু ওহিউল্লাহ। ভাষা আন্দোলন থেকেই পরবর্তীকালে সূত্রপাত হয় মুক্তিযুদ্ধের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে শহীদদের স্মৃতিতে নির্মিত হয় শহীদ মিনার। শেষ পর্যন্ত সরকারকে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দিতে বাধ্য হতে হয়। এই ভাষা শহিদদের স্মরণে ২১শে জানুয়ারি দিনটিকেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।উল্লেখ্য বিশ্বজুড়ে ২৬.৫ কোটি মানুষ ব্যবহার করেন এই বাংলা ভাষা।