বাঙালির কাছে এখন সরস্বতী পূজা মানেই এক মিষ্টি ‘প্রেম দিবস’

২৯ জানুয়ারি, শহরজুড়ে যেন প্রেমেরই মরসুম,,,,,,,,,, হ্যাঁ, মিষ্টি মানুষগুলোর জন্য তাদের মিষ্টি প্রেমের সপ্তাহ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা সকলেই জানি, সরস্বতী পূজো মানে বাঙালির ভ্যালেন্টাইন ডে, মানে প্রেম দিবস। বছর বছর যতই ভ্যালেনটাইন সপ্তাহ পালন হোক না কেন, সেই সপ্তাহের আগেই এসে যায় ‘অঘোষিত প্রেম দিবস’ মানে বাঙালির সরস্বতী পুজো!
সকাল থেকেই রংবেরঙের শাড়ি আর পাজামা-পাঞ্জাবীর ভিড়ে ঠাসা স্কুল কলেজ জানিয়ে দেয় আজ সরস্বতী পুজো। ভোরবেলা স্নানের পরই হলুদ শাড়ি পড়ে কচিকাচাদের অঞ্জলি দেওয়ার চল, সকাল থেকেই তাদের দেখা দেয় পাড়ায় পাড়ায়। এটাই তো সেই দিন যেদিন স্কুলের রোজের ‘ইউনিফর্ম’ ছেড়ে রঙের রঙের জামা পড়ার ধুম। যে স্কুলগুলোতে বছরের অন্যান্য দিন যাওয়া যায়না, সেই স্কুলে ঢোকবার সুযোগ এ দিনেই হয়ে থাকে। ঠাকুর দেখার অজুহাতে স্কুলে কলেজে ঘুরতে যাওয়ার মজায় মশগুল হয়ে ওঠে কিশোর থেকে তরুণ প্রজন্ম।শুধুমাত্র এই দিনটাতেই হয়তো মা-বাবার কড়া শাসন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আর যারা এই মরশুমের প্রথম থেকে কুল খাওয়ার লোভ সামলে এসেছে, এদিনে তাঁদের আর পায় কে! বইপত্তর তো সরস্বতীর কাছে, এদিনে আবার কথিত আছে পড়তে বসা একেবারেই অনুচিত! আর এই কথাকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করে খুদে থেকে সকল পড়ুয়া।এই দু’দিনের আনন্দ লুটে পুটে নেওয়ার তালে রয়েছে আপামর বাঙালি। সব মিলিয়ে শুক্লা পঞ্চমীর সকাল থেকেই বাঙালি বসন্ত উদযাপনের আনন্দে মেতে ওঠে।ঠাকুর দেখার নাম করে কেউ কেউ আবার প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গে সময় কাটানোর তালে থাকে। তাই ক্যালেন্ডারের ভ্যালেন্টাইন ডে-র আগেই বাঙালীর ‘বসন্ত’ থুরি ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’।