বিহার হয়ে পালিয়ে পঞ্জাব, লুধিয়ানায় ডাকাতি করতে গিয়ে পাকড়াও মণীশ শুক্ল হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন শার্প শ্যুটার

নিউজ ডেস্ক, কলকাতা, ৩০ অক্টোবর,২০২০: মনীশ শুক্লা খুনে উঠে এলো আরো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পাঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জন শার্প শ্যুটারকে। গ্রেফতার তিন জনই বিহারের বাসিন্দা, এবং তিন জনই পেশাদার শার্প শ্যুটার। সি আই ডি সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। পাঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে তিন দিন আগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকেই গ্রেফতার করে বাকি দুজনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। ট্রানজিট রিমান্ডে পশ্চিমবঙ্গে ওই তিনজনকে আনা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মনীষ শুক্লার খুনে ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক অভিযুক্ত ইতিমধ্যে রয়েছে সিআইডি হেফাজতে। সুজিত কুমার রাই ও রোশন কুমার যাদবকে টিআই প্যারেডের জন্য আর্জি জানালে এদিন ব্যারাকপুর মহকুমা আদালত তা মঞ্জুর করে।  রাজ্য গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, বিজেপি নেতাকে খুনের জন্য ৭ জন শার্প শ্যুটারকে আনা হয় বিহার থেকে।খুনের পরই অভিযুক্ত তিনজন বাইকে চেপে গা ঢাকা দেয় বিহারে। সেখানে থেকে উত্তরপ্রদেশ হয়ে তারা পালায় পঞ্জাবের লুধিয়ানায়। সিআইডি সূত্রের দাবি, পঞ্জাবে ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে মণীশ-খুনে অভিযুক্ত এই তিন শার্প শ্যুটারকে। উল্লেখ্য, ১৬ অক্টোবর লুধিয়ানায় স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় ডাকাতি করতে গিয়ে লুধিয়ানা পুলিশের হাতে পাকড়াও হয় তিনজন।সিআইডি সূত্রের দাবি, পুলিশের তাড়া খেয়ে বাইক থেকে পড়ে যায় ২ দুষ্কৃতী।যদিও, সকলকে ধরে ফেলা হয়। সূত্রের খবর,   জেরার মুখে মণীশ-হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার স্বীকার করেছে ধৃতেরা। প্রসঙ্গত, মণীশের বাবা টিটাগড় থানায় যে এফআইআর দায়ের করেছে, তাতে নাম ছিল ব্যারাকপুরের বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা উত্তম দাস এবং টিটাগড়ের বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরীর।এরপরেই তদন্ত শুরু করে সি আই ডি। সেখান থেকেই মহম্মদ খুররম খান এবং গুলাব আলি শেখ নামক দু’জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।এরপরে শার্প শুটারদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে সুবোধ যাদবকেও গ্রেফতার করে সি আই ডি।