বেআইনি সোনা উদ্ধার সাফল্যে ইসলামপুর জেলার পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা ৪ নভেম্বর ২০২০ উত্তর দিনাজপুর: বেআইনি সোনা উদ্ধারে বড়সড় সাফল্য পেল ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ। প্রায় ৪ কোটি টাকা মূল্যের সোনার বাট উদ্ধার করল ইসলামপুর থানার অন্তর্গত রামগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ।

সোনা পাচারের ঘটনায় তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ২ জনের বাড়ি মহারাষ্ট্র রাজ্যে এবং একজনের বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার ভক্তিনগরে। আজ ধৃতদের ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ রামগঞ্জে পুলিশের নাকা চেকিংয়ের সময় একটি অটোরিকশা আটক করে। নম্বর বিহীন ওই অটোরিকশাতে চালক ছাড়াও দুজন যাত্রী ছিল। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ওই দুই যাত্রীর কাছ থেকে ১৬৬ গ্রাম ওজনের ৫০ পিস সোনার বাট উদ্ধার করে। উদ্ধার করা হয় ৮ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের বেআইনি সোনার বাট। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ কোটি টাকা। ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শচিন মক্কর জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে রামগঞ্জে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে নাকা চেকিংয়ের সময় একটি নতুন নম্বর বিহীন অটোরিকশা আটকানো হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। অটোরিকশা চালক রেজাউল আলি জানায় নতুন এই অটোরিকশা শিলিগুড়ি থেকে কিনে মালদাতে ডেলিভারি দিতে যাচ্ছে। এরপর অটোরিকশাতে থাকা দুজন যাত্রী মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাতারা জেলার বাসিন্দা হরিদাস থানাবোড়ে এবং সাঙলি জেলার বাসিন্দা অতুল রমেশ বাবরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা মালদহে যাচ্ছে বলে জানায়। শিলিগুড়ি থেকে বহু যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য যানবাহন থাকা সত্বেও কেন ওই দুজন যাত্রী অটোরিকশা করে শিলিগুড়ি থেকে মালদহ যাচ্ছিল তা নিয়েই সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপর পুলিশ যাত্রীদের এবং অটোরিকশাতে তল্লাশি চালিয়ে ৫০ টি সোনার বাট উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় অটোচালক সহ তিনজনকে। বুধবার ধৃতদের ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালতের কাছে তাদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে ইসলামপুর থানার পুলিশ। বিচারক ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই বিপুল পরিমান সোনা কোথায় পাচার করা হচ্ছিল এবং এই ঘটনার সাথে আর কোনও পাচারচক্র জড়িত আছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ এমনটাই জানিয়েছেন ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শচিন মক্কর।