মহাঅষ্টমীতে বাংলার মণ্ডপে মণ্ডপে কুমারী পুজো

নিজস্ব সংবাদদাতা,হাওড়া, ২৪ অক্তবর,২০২০: দুর্গাপুজোর অষ্টমী তিথিতে অনেক জায়গায় কুমারী পুজো করা হয়। ব্রাহ্মণ অবিবাহিত কন্যা অথবা অন্য গোত্রের অবিবাহিত কন্যাকে দেবীরূপে পুজো করা হয় আজকে। সেই মতন বাংলার আজ বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে করা হল কুমারী পুজো।

পুরাণে অনুযায়ী দেবী কুমারী রূপে কোলাসুরকে বধ করেছিলেন। তার থেকেই এই প্রথার উত্‍পত্তি।শাস্ত্র অনুসারে সাধারণত এক বছর থেকে ১৬ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা কুমারীকে পুজো করা । ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মাঠে নয় কুমারীকে পুজো করেন। তখন থেকে প্রতি বছর দুর্গাপুজোর অষ্টমী তিথিতে বেলুড় মঠে মহা ধুমধাম করে এই পুজোর প্রথা চলে আসছে।এই বাড় করোনার কারণে অন্যভাবে হল বেলুরের কুমারী পুজো। পাশাপাশি, পুজোয় শাস্ত্রীয় নিয়ম যথাযথ মেনে আত্মিকতা আজকের দিনে বিরল। বিমানবন্দরের পাশে নিউ ব্যারাকপুর এর দক্ষিণ কোদালিয়ার ঠাকুর শ্রী শ্রী সমীর ব্রহ্মচারী বিশ্ব সেবাশ্রম সংঘের দুর্গাপুজো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তার শুদ্ধতা ও সাত্তিকতার সঙ্গে শাস্ত্রীয় নিয়ম মেনে কিভাবে মায়ের পুজো করা উচিত।

আরও পড়ুন…ফুল ছাড়াই অঞ্জলি হল বাগবাজার সর্বজনীনে

অষ্টমীর সকালে ঠিক সেভাবেই নিষ্ঠাচার মেনে করোনা বিধিকে মাথায় রেখে করা হলো কুমারী পূজা। আবার, প্রত্যেক বছরের মত পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা দোমরা রামকৃষ্ণ মঠে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে কুমারী পূজা।প্রতি বছর প্রচুর মানুষের সমাগম হয় কিন্তু এই বছর করোনা নিয়মবিধি মেনে ভক্তের উপস্থিত কম হলেও কুমারী পূজা হচ্ছে পজ্ঞিকা  নিয়ম মত ।একইভাবে, রায়গঞ্জ ছত্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হল।ছয় বছরের শিশুকে কুমারী পূজা হিসেবে পূজা করা। সন্ধি পূজা শেষ হবার পরই কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।