মালদায় দরিদ্র রুবিনার বিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল নেতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ৪ অক্টোবর,২০২০: মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খন্তা গ্রামের বাসিন্দা রুবিনা খাতুন।দারিদ্রতার কারণে ১৯ বছর বয়সী ওই যুবতীর বিয়ে নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। আগামীকাল বিয়ে রুবিনার ।কিন্তু বিয়ের জন্য যতটুকু টাকা পয়সার দরকার কিছুই নেই তাদের কাছে ।কিভাবে মেয়ের বিয়ে দেবেন সেই নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন কনের পরিবার।রুবিনার বাবা মইনুল হক মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে।অসহায় বৃদ্ধ মা ছাড়া পরিবারে চার বোন এক ভাই।ছোট ভাইয়ের বয়স ৮ বছর।ফলে পরিবারের রোজগেরে সদস্য বলতে এই মুহূর্তে তেমন কেউ নেই।কিন্তু অসহায় দুস্থ এই পরিবারটি রেশন ছাড়া তেমন কোনো সরকারি সাহায্য পায় না।জন্মের সার্টিফিকেট না থাকার কারণে রুবিনা রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পাইনি।এমনকি আবাস যোজনার ঘর মেলেনি গরিব এই পরিবারটির। অসহায় এই পরিবারের দারিদ্রতার কথা জানতে পারেন মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা হরিশ্চন্দ্রপুর এর দাপুটে নেতা বুলবুল খান। আর তাদের দারিদ্রতার কথা জানতে পেরে পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন সহৃদয় এই তৃণমূল নেতা। বুলবুল বাবুর কাছে সাহায্য পেয়ে কেটেছে বিয়ে নিয়ে অনিশ্চয়তা।হাসি ফুটেছে রুবিনা এবং তার পরিবারের মুখে।
আজ এই পরিবারটির সঙ্গে দেখা করতে এসে আর্থিক সাহায্য করেন বুলবুল খান। এছাড়াও তিনি চাল, ডাল,আলু সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য দেওয়ার কথা বলে যান স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে।তিনি জানান যে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা যাতে তারা পায় সেই ব্যাপারটি তিনি দেখবেন।

রুবিনার দিদা সাবেরা বেওয়া বলেছেন,খুব কষ্ট করে দিন কাটে তাদের। জমি জায়গা কিছু নেই।সরকারি কোন তেমন সাহায্য পান না।এর ওর সাহায্যে কষ্ট করে সংসার চালায়। রেশনের যেটুকু পান দুই বেলা খাবার জন্য সেটাই ভরসা। নাতনির বিয়ে তো ঠিক হয়েছিল কিন্তু এরকম অবস্থায় কিভাবে বিয়ে দেবো ভেবে পাচ্ছিলেন না। বুলবুল বাবু পাশে এসে দাঁড়িয়ে আর্থিক সাহায্য করলেন বলে আমার নাতনি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারছে।আমাদের খুব ভালো লাগছে।
প্রসঙ্গত ,এই প্রথম নয় করোনা আবহে বহু দুস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরের এই তৃণমূল নেতা। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো কে জনসংযোগের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে দাপুটে তৃণমূল নেতা বুলবুল খান।