রেল দুর্ঘটনায় আহতদের সাথে দেখা করতে এলেন রাজস্থানের দুই মন্ত্রী

রাজস্থানের

রেল দুর্ঘটনায় আহতদের সাথে দেখা করতে এলেন রাজস্থানের দুই মন্ত্রী। ময়নাগুড়ি দোহমনিতে রেল দুর্ঘটনায় আহতদের সাথে দেখা করতে এলেন রাজস্থানের দুই মন্ত্রী। মন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন রাজস্থানের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী গোবিন্দ রাম মেঘ‌ওয়াল এবং শক্তি প্রতিমন্ত্রী ভাওয়ার সিং ভাটি। এদিন এই দুই মন্ত্রী প্রথমে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিকেল এ আহতদের সাথে দেখা করেন এরপর ঘটনাস্থলে যান।

 

জানা গেছে মেডিক্যালে আহতদের মধ্যে রয়েছে রাজস্থান রাজ্যের বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র চৌধুরী ও ঈশ্বর রাম। এদিন  মন্ত্রীরা বলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এসেছি । সমস্ত বিষয়টি দেখে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব। রাজস্থান সরকার সর্বতোভাবে আহতদের পাশে রয়েছে। তবে মেডিক্যালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভাল রয়েছে।

 

এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে লাইনচ্যুত হয় বিকানের–গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ময়নাগুড়ির কাছে এই দুর্ঘটনায় মারা যান অন্তত ন’‌জন। আহত বহু। কেন এই দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার সকালেই ময়নাগুড়ি পৌঁছে গেলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।  মাঝরাতে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে যান রেলমন্ত্রী। সেখান থেকে বিশেষ ট্রেন ধরে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বৈষ্ণব।

 

এদিন সকালে ট্রলিতে চেপে পরিদর্শন করেন ঘটনাস্থল। তার পরেই বলেন, ‘‌খুবই দুঃখজনক ঘটনা। উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। আমি নিজে এখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি। তদন্তও শুরু হয়েছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টির উপর নজর রাখছেন। আমি এখানে এসেছি এই দুর্ঘটনার মূল কারণ জানার জন্য।’‌ তাঁর থেকে প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনার খবর নিয়েছেন বলেও জানালেন।

 

আর ও পড়ুন    মাত্র ১ টাকায় ১ কাপ চা, কোথায় পাওয়া যাবে? জানুন

 

রেলমন্ত্রী এই নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাসও দিয়েছেন। বলেছেন, ‘‌গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। দেখা হবে কেন এই দুর্ঘটনা ঘটল। আমি চেষ্টা করছি সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। আগামী দিনে যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া হবে। যান্ত্রিক ত্রুটি না অন্য কোনও কারণ তা খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত করার মতো অনেকগুলো বিষয় রয়েছে।’‌

 

দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে রেলের জেনারেল ম্যানেজার আনসুল গুপ্তা বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ এখনই বলা যাবে না। কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি আসার পরেই সবটা জানা যাবে।’‌ আহতদের ৩৬ জনের চিকিৎসা চলছে জলপাইগুড়ি স্পেশালিটি হাসপাতালে। ছ’‌ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়েছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।