রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় গ্রেফতার করা হলো শনিবার রাতে মেদিনীপুর শহরে গুলি-কাণ্ডের ‘প্রধান অভিযুক্ত’ কুখ্যাত অপরাধী মোটা রাজা’ ( Raja ) (সুমন সিং)-কে। ঘটনার মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরে ঢোকার মুখ থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মেদিনীপুর শহরের মহাতাবপুরে গুলি চালিয়ে মোটা রাজা ( Raja ) তার বুলেট বাইক নিয়ে ডেবরার দিকে পালিয়ে যাচ্ছিল। এলার্ট করা হয় প্রতিটি থানা এবং নাকা চেকিং পয়েন্টগুলিকে। এরপরই, উল্টো দিক থেকে ডেবরা থানার পুলিশ তাকে তাড়া করে। খড়্গপুরের SDPO দীপক সরকারের নেতৃত্বে খড়্গপুর এলাকা থেকেও তার পিছু ধাওয়া করা হয়। বুঝতে পেরেই মেদিনীপুর শহরের দিকে পিছু হটতে শুরু করে মোট রাজা।
প্রস্তুত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অম্লান কুসুম ঘোষের নেতৃত্বে কোতোয়ালী থানার পুলিশ। মেদিনীপুর শহরে ঢোকার মুখেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। একটি নাইন এমএম পিস্তল এবং ৩ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয় মোটা রাজা’র ( Raja ) কাছ থেকে। রবিবার তাকে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়।
আর ও পড়ুন অবশেষে যশ জানালেন নুসরাত ( Nusrat ) তার কী
পুলিশ ১৪ দিনের হেফাজতে (রিমান্ডে) নেওয়ার আবেদন জানায়।পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে মেদিনীপুর আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক । জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, খড়্গপুরের এসডিপিও, ডেবরা ও কোতোয়ালী থানার আইসি সহ পুরো টিমের জন্য ৫০ হাজার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে জেলা পুলিশের তরফে। মোটা রাজার বাকি সঙ্গীদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত্রি আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে মেদিনীপুর শহরে চলেছিল ৩ রাউন্ড গুলি! ধর্মায় একটি হোটেলে (ধাবায়) ২ রাউন্ড এবং মহাতাবপুরের পদ্মাবতী শ্মশান ঘাটের সামনে ১ রাউন্ড। ঘটনার মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্ত মূল দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।
শনিবার রাত্রি ১১ টা নাগাদ এই খবর জানিয়েছিলেন জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। তবে, কিভাবে তাকে পাকড়াও করা হয়, তা রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানালেন। উল্লেখ্য যে, ২০১৯ এর গুলি কান্ডের মূল অভিযুক্ত মোটা রাজা ওরফে সুমন সিং।
ওই ঘটনায় রাজা মজুমদার নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি, জামিন পেয়েছিল সুমন সিং (মোটা রাজা)। কিন্তু, জামিনের প্রধান শর্ত ছিল মেদিনীপুর শহরে ঢোকা যাবে না, এমনটাই জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার। তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র আতঙ্ক ও ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য মেদিনীপুর শহরে প্রবেশ করেছিল মোটা রাজা।মেদিনীপুর আদালতে রবিবারএই তথ্যও তুলে ধরা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার।
তিনি এও আবেদন করেছেন, শনিবার রাতের ঘটনায় ধর্মার সুমন্ত হোটেল এবং অন্য কেউ যদি থাকেন, তারা যেন থানায় অভিযোগ জানান। মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দাদের “ভয় পাওয়ার দরকার নেই”, আশ্বস্ত করেছেন পুলিশ সুপার।
 (সুমন সিং)-কে।){kind=link}