লকডাউনে ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমান্তে আটকে পড়া শ্রমিকদের বিক্ষোভ প্রদর্শন

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম বর্ধমান, ৮ মে, শুক্রবার সকালে ডুবুডিহি ঝাড়খণ্ড – বাংলায় আটকে পড়া প্রায় ৭০০ জনের বেশি শ্রমিকরা মিলে ঝাড়খণ্ড বর্ডারে ঝাড়খণ্ড প্রশাসনের কাছে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।তাদের দাবি, তাদের নিজের রাজ্যে যেতে দেওয়া হোক।তিন দিন ধরে অনাহারে ঝাড়খণ্ড বর্ডারে তাঁরা আটকে রয়েছেন।ঝাড়খণ্ড প্রশাসন তাঁদের নিজের রাজ্যে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না, তাই ক্লান্ত হয়ে অবশেষে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন।তাঁদের মধ্যে অনেকের বাড়ি বিহার রাজ্যে আবার অনেকের বাড়ি ঝাড়খণ্ড রাজ্যে, তিন দিন ধরে তাঁদের ঝাড়খণ্ড প্রশাসন বলে চলেছে, তাঁদের জন্য ব্যাবস্থা করা হবে কিন্তু কোনোও ব্যবস্থা নাকি তিন দিন ধরে করা হয়নি, তারা বারবার প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছে তাদের নিজ নিজ রাজ্যে বা জেলায় নিয়ে গিয়ে সমস্ত শারীরিক পরীক্ষা করা হোক, তারপর ১৪ দিন করেনটাইন সেন্টারে রাখা হোক।তাই আজ বাধ্য হয়ে তারা রাস্তায় নেমে ঝাড়খণ্ড প্রশাসনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

আটকে পড়া এক শ্রমিক জানান, “আমরা পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করি,লকডাউন জেরে কাজ সমস্ত বন্দ হয়ে পড়েছে। যা টাকা ছিলো সেই দিয়ে এতদিন চললো টাকা এখন শেষ এবং কাজ বন্ধ। তাই আমরা পায়ে হেঁটে বা সাইকেল নিয়ে নিজ নিজ বাড়ি যাচ্ছিলাম। কিন্তু ঝাড়খণ্ড প্রশাসন আমাদের নিজের রাজ্যে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না, আমরা তিন দিন ধরে আমরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছি, আমাদের না খাবার দিচ্ছি না জল দিচ্ছি ঝাড়খণ্ড প্রশাসন আমাদের শুধু বলা হচ্ছে তোমাদের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে, কিন্তু কিছু ব্যাবস্থা হচ্ছে না, তাই বাধ্য হয়ে আজ আমরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করি, আমাদের শুধু এইটুকু অনুরোধ আমাদের খাবার দাবার কিছু চাইনা শুধু নিজের রাজ্যে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হোক।যেমন পশ্চিমবঙ্গ সরকার করলো নিজের রাজ্যের শ্রমিকদের বাসে করে পশ্চিমবঙ্গে ফেরত নিয়ে গেলো, তবে আমাদের কেনো ডুকতে দেওয়া হচ্ছে না।কত দিন আমরা অনাহারে দিন কাটাবো”।এই বিক্ষোভ প্রদর্শনের খবর পেয়ে ঝাড়খণ্ড প্রশাসন তাদের জানাই তাদের শারীরিক পরীক্ষা করে নিজ নিজ রাজ্যে বা জেলায় ছাড়া হবে এই আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা শান্ত হয়।ঝাড়খণ্ড প্রশাসনের তরফে শ্রমিকদের নাম ও ঠিকানা নথিভুক্ত করা হয় তাদের নিজ রাজ্যে প্রবেশ করানোর জন্য।