লকডাউনে দেশবাসীর পেটে ভাত তুলতে দিন-রাত পরিশ্রম করে চলেছে এক দল শ্রমিক

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৪ এপ্রিল, করোনা মোকাবিলায় আগামী ৩রা মে পর্যন্ত্য লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ঘরবন্দী সাধারণ মানুষের যাতে খাওয়ারের কোনো অসুবিধা না হয় সেই জন্য পড়ুয়াদের মিড ডে মিল ফের দেওয়া হবে এমনকি বিনামূল্যে রেশনও দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আর সেই ঘোষণার পর থেকে চালের জোগান স্বাভাবিক রাখতে দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৭টি রাইশ মিলের শ্রমিকরা।

তাদের বক্তব্য, “করোনা ভয়কে দূরে ঠেলে রাজ্যের মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে আমরা কাজ করে চলেছি। ডাক্তার নার্স স্বাস্থ্যকর্মীরা যদি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে পারে আমরা পারবোনা কেন। অন্যদিকে চালকল মালিকদের বক্তব্য, সুরক্ষাবিধি মেনে শ্রমিকদের বাড়তি মজুরি দিয়ে খাদ্যশষ্যর জোগান যাতে স্বাভাবিক থাকে তার জন্য কাজ করে চলেছি। এমনকি লকডাউনের জেরে অনেক শ্রমিক বাড়ি ফিরতে পারেনা প্রতিদিন, তাদেরকে মিলের অতিথি নিবাসে রেখে আমরা কাজ করছি”। অন্যদিকে রাইসমিল সংগঠনের বক্তব্য, “আগে জেলার ২৭টির মদ্ধ্যে ২০টি মিল চালু ছিল। কিন্তু লকডাউনের পর জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা ২৭টি মিল চালাচ্ছি। মিড ডে মিলের চাল, অন্ত্যোদয় যোজনার চাল আগে কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রাধীন এফ শি আই পাঠাতো, আমরা শুধু রেশনের চাল দিতান কিন্তু লকডাউনের জেরে পরিবহন সমস্যার জন্য এফ সি আই ও চাল পাঠাতে পারছেনা সেই চাল আমাদের উৎপাদন করতে হচ্ছে। আমাদের জেলা ছাড়াও বাইরের জেলাতেও আমরা চাল সরবরাহ করছি”।