শামির প্রশংসায় পঞ্চমুখ শাস্ত্রী-সহ প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা, কেন জানেন?

শামির

শামির প্রশংসায় পঞ্চমুখ শাস্ত্রী-সহ প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা, কেন জানেন? । টেস্টে ২০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তির পর শামির প্রশংসায় পঞ্চমুখ শাস্ত্রী-সহ প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। খুশির হাওয়া বাংলার ক্রিকেট মহলেও। মহম্মদ শামি দেশের মাটিতে ১৬টি টেস্টে ৩২ ইনিংসে ৬২টি উইকেট পেয়েছেন। বিদেশের মাটিতে ৩৯টি টেস্টে (নিরপেক্ষ কেন্দ্র হিসেবে ইংল্যান্ডে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল-সহ) ১৩৮টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। ৫৫তম টেস্টে ২০০ টেস্ট উইকেট পেয়েছেন। সেরা বোলিং ৫৬ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।

 

কোনও টেস্টের নিরিখে সেরা বোলিং ১১৮ রানের বিনিময়ে ৯ উইকেট। গড় ২৭.১০, ইকনমি ৩.২৮। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ৬ বার। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৮ টেস্টে শামি ৩১টি উইকেট পেয়েছেন। ইংল্যান্ডে ১২টি টেস্টে ৩৬টি, নিউজিল্যান্ডে ৪ টেস্টে ১৫টি, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৬ টেস্টে এখনও অবধি ২৬টি, শ্রীলঙ্কায় ৩ টেস্টে ১০টি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে ৬টি টেস্টে ২০টি উইকেট রয়েছে সুলতান অব বেঙ্গলের। গতকাল শামির মাইলস্টোন স্পর্শের পর এই নামেই তাঁকে অভিহিত করেছেন ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী।

 

টেস্টে শামির সেরা বছর গিয়েছে ২০১৮ সাল। সেবার তিনি ১২টি টেস্টে ৪৭টি উইকেট দখল করেন। ২০১৩ সালে ৪ টেস্টে ১৭টি উইকেট পেয়েছিলেন। ২০১৪ সালে সাত টেস্টে ২৪টি, ২০১৫ সালে একটি টেস্টে ৬টি, ২০১৬ সালে ১০ টেস্টে ২৯টি, ২০১৭ সালে ৫ টেস্টে ১৯টি, ২০১৯ সালে ৮টি টেস্টে ৩৩টি, ২০২০ সালে ৩ টেস্টে ৫টি উইকেট দখল করেন শামি। চলতি বছর এখনও অবধি ৫ টেস্টে তিনি ৩৫টি উইকেট পেয়েছেন।

 

আর ও পড়ুন    পাহাড়ে বৃষ্টি ও তুষারপাত, দক্ষিণে উধাও শীত! 

 

এদিন সকালটা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ভারতের সাত উইকেট তাড়াতাড়ি ফেলে অলআউট করে দিয়েছিলেন প্রোটিয়া পেসার এনগিডি ও রাবাডা। দুপুরটা নিজের নামে করে নিলেন ভারতের মহম্মদ শামি। ৫ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুইয়ে দিলেন। একইসঙ্গে ৫৫ টেস্ট খেলে দুশো উইকেটও তুলে নিলেন বঙ্গ পেসার। শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকার শিবিরে হানা দেন জসপ্রীত বুমরা। ১ রানে ফিরে য়ান এলগার। তার পর জোড়া উইকেট তুলে নেন শামি। বোল্ড হন মার্করাম ও পিটারসেনকে।

 

এর মাঝে পায়ে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান বুমরা। ৩২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকার হাল ধরেন কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা বাভুমা। কুইন্টনকে ফেরান শার্দুল। অর্ধ শতরান করে বড় রানের দিকে এগোচ্ছিলেন বাভুমা। তাঁকে ফেরান শামি। বাভুমা ও ডি কক জুটি না গড়লে একশোর কমেও আউট হয়ে যেতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিজে এসে সিরাজের প্রথম বলেই গালিতে কঠিন ক্যাচ দিয়েছিলেন ডি কক। কেএল রাহুল বলের কাছে পৌঁছলেও তালুবন্দি করতে পারেননি। ১৯৭ রানে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস। ভারত এগিয়ে ১৩০ রানে।