সবুজের অভিযানে নামতে চলেছে সিপিএম, ছেঁটে ফেলা হবে ৭৫ বয়েসীদের

সবুজের অভিযানে সিপিএম

সবুজের অভিযানে সিপিএম: সিপিএম চাইছে এবারে সবুজের অভিযানে নামতে। আসলে নবীন প্রজন্মকেই সামনে রাখতে চাইছে তারা। ফলে বাদ পড়তে পারেন এবার বয়োবৃদ্ধ অনেক হেভিওয়েট নেতারা। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ছেঁটে ফেলা হবে ৭৫ বছরের উপর বয়েসী নেতাদের। একইসঙ্গে অনেকের অবসর নেওয়ার সময়ও চলে এসেছে।

তাই সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটব্যুরো থেকে বাদ পড়তে পারেন পশ্চিমবাংলার হেভিওয়েট অনেক নেতা নেত্রীরা। তাঁদের জায়গায় আসতে পারেন তরুণ তুর্কিরা। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন, সিপিএমের এই নয়া নীতির গেরোয় পড়ে এবার সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটব্যুরো থেকে বিমান বসু ও হান্নান মোল্লাদের সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। কারণ একটাই বয়স। সেইসঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে সামনের সারিতে নিয়ে আনা। জানা গিয়েছে, আগামী বছর ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ভারতের কেরল রাজ্যের কান্নুরে সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে।

সেখানেই বড় সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়তে পারে। এর আগে পশ্চিমুবঙ্গ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব পেশ করেছিলেন যে, তরুণদের সামনের সারিতে আনতে হবে। তিনি বলেছিলেন, ৭৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে যাঁদের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়, তাঁদরে স্বেচ্ছায় কমিটি ত্যাগ করা উচিত। আর ৭৫ বছরের বেশি বয়সীদের জায়গায় নতুনদের সুযোগ দিতে হবে। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এতদিন ৮০ বছর বয়সী নেতারা থাকতে পারতেন। এবার ৮০ বছরের বয়ঃসীমা কমিয়ে আনা হচ্ছে ৭৫ বছর বয়েসে।

জানা গিয়েছে, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সিপিএম যদি ৮০ থেকে কমিয়ে বয়ঃসীমা ৭৫ বছর করে, তবে পলিটব্যুরো সদস্য বিমান বসুর নাম সবার আগে চলে আসবে। তিনি এমনিতে ৮০ বছর পেরিয়ে গিয়েছেন। নয়া নিয়ম কার্যকর না হলেও তাঁর পলিব্যুরো থেকে সরে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। তারপর কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, এস রামচন্দ্রন পিল্লাইরা ৭৫ বছর পেরিয়ে গিয়েছেন। ৭৫ পেরিয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ হান্নান মোল্লাও। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বরাবরই তরুণ প্রজন্মকে সামনের সারিতে এগিয়ে দেওয়ার পক্ষে। তারপর পশ্চিমবাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের প্রার্থী তালিকায় এক ঝাঁক তরুণ মুখ দেখা গিয়েছে। তাঁদের প্রার্থী করেও বামেদের বিপর্যয় ঠেকানো যায়নি ঠিকই। কিন্তু তাঁদের আগাম পরিচিতিও করানো হয়নি। ভোটের আগেই মানুষ জানতে পেরেছে তাঁদের পরিচয়। তাই এবার দলী. সংগঠনেও নতুন মুখদের এনে সিপিএম নতুন করে শুরু করতে চাইছে।