অচল সিলেট, ভোগান্তিতে বাংলাদেশের সাধারন মানুষ

সিলেট

অচল সিলেট, ভোগান্তিতে বাংলাদেশের সাধারন মানুষ। পাঁচ দফা দাবিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির ডাকা এ ধর্মঘটের কারণে সোমবার সকাল থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ছেড়ে যায়নি পণ্যবাহী গাড়ি, দূরপাল্লা ও স্বল্পপাল্লার কোনো বাস। আচমকা ডাকা এ ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন স্কুল, কলেজ ও অফিসগামী যাত্রীরা। রোবাবার দুপুরে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি।

 

পরিবহন শ্রমিকদের দাবিগুলো হল- সিলেট জেলা অটোটেম্পো ও অটোরিকশাচালক শ্রমিক জোটের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা এবং প্রহসনমূলক নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তথাকথিত ঘোষিত কমিটি বাতিল করা ও মনোনয়ন ফি বাবদ আদায় করা টাকা ফেরত দেয়াসহ সিলেটের আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের উপপরিচালককে প্রত্যাহার।

 

এছাড়া সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের উপর দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করা, শেরপুর, শেওলা, লামাকাজী, শাহপরাণ ও ফেঞ্চুগঞ্জ সেতু থেকে টোল আদায় বন্ধ এবং চৌহাট্টাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে কার, মাইক্রোবাস, লেগুনা, অটোরিকশসহ সকল প্রকার গাড়ির পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া আহমদ বলেন, গত ৯ নভেম্বর সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবর আমরা ৫ দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম।

 

আর ও পড়ুন      মাধ্যমিক পাশেই নৌসেনায় চাকরির সুযোগ, ২৭৫টি পদে নিয়োগ  

 

সেসব দাবি মানার কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। হঠাৎ ধর্মঘটের কারণে গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীরা। যাত্রীরা সিএনজি, রিকাশাসহ ছোটখাটো যানবাহনে যাতায়াত করছে।

 

তবে এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বেশি ভাড়া। সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে অপেক্ষারত এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, কিছু হলেই পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট ডেকে বসেন। আমাদের জিম্মি করে তারা নিজেদের দাবি আদায় করতে চান। এটা খুবই অন্যায্য।