প্রাচীন শৌচাগারের হদিশ পেলেন ইজরায়েলের প্রত্নতাত্ত্বিকেরা

হদিশ

প্রাচীন শৌচাগারের হদিশ পেলেন ইজরায়েলের প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। আনুমানিক ২,৭০০ বছরের পুরনো এই শৌচাগার। ইজরায়েলের পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, চুনাপাথরের তৈরি ওই শৌচাগারটি আয়তক্ষেত্রকার কেবিনের মতো। সেটি একটি বিরাট বাড়িতে ছিল। আরাম করে বসার জন্য সেখানে নকশা তৈরি করা হয়, এবং সেটির নিচে একটি বিশাল সেপটিক ট্যাঙ্কও ছিল।

 

আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ‘সেপটিক ট্যাঙ্কে যে সমস্ত প্রাণীর অস্থি ও যে ধরণের মাটির বাসন পাওয়া গিয়েছে তা সেই সময়ের মানুষের জীবনশৈলী, খাদ্যাভ্যাস এবং রোগব্যধীর বিষয়টিকে তুলে ধরছে।’ এছাড়া বাগানের প্রমাণ হিসেবে বেশকিছু স্তম্ভও পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। এর থেকে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা মনে করছেন যাঁরা সেই সময় সেখানে থাকতেন তাঁরা যথেষ্টই ধনী ছিলেন। খননকার্যের পরিচালক ইয়াকুব বিলিগ বলেন, ‘প্রাচীনকালে নিজস্ব এইরকম একটি শৌচাগার থাকা ছিল রীতিমতো দুর্লভ ঘটনা। শুধুমাত্র ধনীরাই শৌচাগারের খরচ সামাল দিতে পারতেন।’

 

আর ও  পড়ুন    আগামী নভেম্বর মাস বিশেষ হতে চলেছে কেন? বিস্তারিত জানতে পড়ুন প্রতিবেদনটি

 

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের ভূমিটি ইহুদিদের জন্মস্থান, যেখানে হিব্রু বাইবেলের চূড়ান্ত রূপটি সংকলিত হয়েছে বলে মনে করা হয় এবং ইহুদি ও খ্রিস্টধর্মের উৎপত্তি স্থান। এছাড়াও পবিত্র ভূমি বা ফিলিস্তিন নামে পরিচিত। এখানে ইহুদী ধর্ম, সামারিটিজম, খ্রিস্টধর্ম, ইসলাম, দ্রুজ ও বাহ বিশ্বাসের পবিত্র স্থান রয়েছে। অঞ্চলটি বিভিন্ন সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং ফলস্বরূপ, বিভিন্ন ধরনের জাতিগোষ্ঠী নিমন্ত্রণ করেছে। তবে, এই ভূমিটি সাধারণ যুগের (খ্রিস্টপূর্ব) প্রায় এক হাজার বছর পূর্ব থেকে সাধারণ যুগের তৃতীয় শতাব্দী (সিই) পর্যন্ত মূলত ইহুদিদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

 

চতুর্থ শতাব্দীতে রোমান সাম্রাজ্যের দ্বারা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণের ফলে গ্রিকো-রোমান খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠের দিকে অগ্রসর হয় এটি ক্রুসেডার সময়কালের (১০৯৯-১২৯১) সমাপ্তির পরে ধীরে ধীরে মুসলিম অঞ্চল হয়ে ওঠে, সেই সময়ে অঞ্চলটি খ্রিস্টান ও ইসলামের মধ্যে বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। এটি ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে মূলত আরবি ভাষার সাথে মুসলিম অঞ্চলে পরিণত হয় এবং এটি প্রথমমে মামলুক সালতানাতের সিরিয়ান প্রদেশের অংশ ও ১৫১৬ সালের পরে থেকে ১৯১৭-১৮ সালে ব্রিটিশ বিজয়ের আগ পর্যন্ত অটোমান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল।

 

উল্লেখ্য, আনুমানিক ২,৭০০ বছরের পুরনো এই শৌচাগার। ইজরায়েলের পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, চুনাপাথরের তৈরি ওই শৌচাগারটি আয়তক্ষেত্রকার কেবিনের মতো। সেটি একটি বিরাট বাড়িতে ছিল। আরাম করে বসার জন্য সেখানে নকশা তৈরি করা হয়, এবং সেটির নিচে একটি বিশাল সেপটিক ট্যাঙ্কও ছিল।আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ‘সেপটিক ট্যাঙ্কে যে সমস্ত প্রাণীর অস্থি ও যে ধরণের মাটির বাসন পাওয়া গিয়েছে তা সেই সময়ের মানুষের জীবনশৈলী, খাদ্যাভ্যাস এবং রোগব্যধীর বিষয়টিকে তুলে ধরছে।’

 

এছাড়া বাগানের প্রমাণ হিসেবে বেশকিছু স্তম্ভও পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। এর থেকে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা মনে করছেন যাঁরা সেই সময় সেখানে থাকতেন তাঁরা যথেষ্টই ধনী ছিলেন। খননকার্যের পরিচালক ইয়াকুব বিলিগ বলেন, ‘প্রাচীনকালে নিজস্ব এইরকম একটি শৌচাগার থাকা ছিল রীতিমতো দুর্লভ ঘটনা। শুধুমাত্র ধনীরাই শৌচাগারের খরচ সামাল দিতে পারতেন।’