২২ শে জানুয়ারি ফাঁসির নির্দেশ দিল নির্ভয়ার ধর্ষকদের

৭ জানুয়ারি, দীর্ঘ ৭ বছর পর আজ নির্ভয়া কাণ্ডে যুক্ত চার জন দোষীদের ফাঁসির নির্দেশ দিল দিল্লির একটি বিশেষ আদালত। ২২ শে জানুয়ারি সকাল ৭ টায় মুকেশ, অক্ষয়, পবন, বিনয়- চারজন ধর্ষকদের ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হল।উল্লেখ্য, ২০১২-তে ফাঁকা বাসে নৃশংস গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। দেশের মানুষ তাঁর নাম দিয়েছিল নির্ভয়া।

বিচারের আশায় প্রায় ৭ বছর ধরে এক আদালত থেকে আরেক আদালতে ঘুরে বেড়িয়েছেন নির্যাতিতার মা আশা দেবী।তাঁর একটাই উদ্দেশ্য ছিল, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া।আজ হয়তো তিনি স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন।দীর্ঘদিনের এই যুদ্ধে আজ সাফল্য অর্জন করলেন আশা দেবী।দিনের পর দিন অনেক চোখের জল ফেলেছেন তিনি। ধর্ষণের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। দু’বছর আগেই অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। এরপর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় ফাঁসি কার্যকর হয়নি।তবুও হাল ছাড়েননি নির্ভয়ার বাবা-মা।মেয়ের আত্মা যাতে শান্তি পায়, তার জন্য দোষীদের শাস্তি চেয়েছেন বারবার।

নির্যাতিতা নির্ভয়ার মা-বাবা আবেদন করেছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের ফাঁসি দেওয়া হোক। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই আজকে বিচারক সতীশ কুমার এই রায় শোনান।বহুদিন ধরেই উঠে আসছিল এই চারজনের ফাঁসির কথা তবে কেউই নিশ্চিত ছিলেন না।এদিকে ফাঁসির দিনক্ষণ এগিয়ে আসতেই মৃত্যুভয় গ্রাস করতে শুরু করে নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের।জানা গিয়েছে, একের পর এক আবেদন করতে থাকে তারা। কখনও দিল্লির লেফট্যানেন্ট গভর্নর তো কখনও হাইকোর্ট তো কখনও সুপ্রিমকোর্ট। এরই মাঝে পিছিয়ে যেতে থাকে তাদের ফাঁসি। এদিকে আজকের এই রায়ের পর দোষীদের আইনজীবী বলেন, ‘আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন জানাব।’ দিল্লির কোর্ট আজকের এই রায়ের বিরুদ্ধে দোষীদের আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যে ১৪ দিন সময় দিয়েছে।

অন্যদিকে আজকের এই রায় শুনে আশা দেবী বলেন, এই বিচারে যেন আর বিলম্ব না হয়, সেই আবেদনও আদালতে জানান তাঁরা।আজ রায় বোরোনোর পর স্বভাবতই স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন নির্ভয়ার মা। তিনি বলেন, “আমার মেয়ের আত্মা আজ শান্তি পেল।সাথে আইনি কার্যালয়ের উপর হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাস আমি পুনরায় ফিরে পেলাম”।