গলসিতে (Golsi) বিপ্লবীদের স্মৃতি ধরে রাখতে বরাদ্দ দু’কোটি টাকা

Golsi
Golsi
Golsi
Golsi

রাজ্য সরকার বিপ্লবীদের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি আশ্রম কে জেলে সাজাতে দু কোটি টাকা বরাদ্দ করল। জানা গিয়েছে যে পূর্ব বর্ধমান জেলা গলসি (Golsi) দু নম্বর ব্লকের চান্না আশ্রমে ছিলেন ঋষি অরবিন্দ ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত, ও বারীন ঘোষের মতো বিপ্লবীরা। আশ্রমের ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক প্রণব কুমার সামন্ত দাবি করেছেন যে বিপ্লবীরা আমাদের এই আশ্রম থেকেই দেশ স্বাধীন করার নানান ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করতেন এবং বহু গোপন বৈঠক এখানে হয়েছে।

 

তাই এই আশ্রমের গুরুত্ব অপরিসীম। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পরিকল্পনামাফিক এই আশ্রম কে জেলে সাজাতে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করায় মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরো জানিয়েছেন যে পরিকল্পনা করে মন্দিরকে ঢেলে সাজানো হবে এবং কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হয়ে যাবে।

 

আর ও পড়ুন    কাবুলে (Kabul) সেনাবাহিনীর রান্নার কাজ করা তাহেরপুরের দুই যুবককে ঘিরে উৎকণ্ঠা

 

স্থানীয় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সঞ্জিব সহ অনেকেই জানিয়েছেন যে প্রায় আট একর জায়গা নিয়ে এই গলসির চান্না আশ্রম টি অবস্থিত। একদিকে রয়েছে খড়ি নদী অন্যদিকে ধানক্ষেত এবং বটগাছ কে ঘিরে বড় ধরনের আশ্রম টি গড়ে উঠেছে। স্বাধীনতা সংগ্রামীরা এখানে নিয়মিত আসতেন এবং তারা নানান ধরনের গোপন বৈঠক করতেন বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে যে আলিপুর বোমা মামলায় অভিযুক্ত ভগৎ সিংয়ের ঘনিষ্ঠ বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৭সালে এই আশ্রম টি তৈরি করেছেন।

 

তাই এই আশ্রম টি গুরুত্ব একাধিক। তবে আশ্রম টি তে রয়েছে টিনের চাল দেওয়া মাটির মূল ঘরটি সেটা অনেকটা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।

 

স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাসুদেব চৌধুরী জানিয়েছেন যে আশ্রম কেন খুব দরকার ছিল আমাদের রাজ্য সরকারকে একাধিক পরিকল্পনা আমরা পাঠিয়েছিলাম তাই ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করে এই আশ্রম থেকে ঢেলে সাজাতে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এই আশ্রম এ গড়ে উঠবে দুটি অতিথি নিবাস এবং খড়ি নদীর পাড় বা দিয়ে বাতিস্তম্ভ বসানো হবে তৈরি করা হবে সৌন্দর্যকরনের জন্য বাগান।

 

বিডি ও সঞ্জীব সেন আরো জানিয়েছেন যে এই আশ্রম তীরে গড়ে উঠবে একটি মিউজিয়াম। যাতে জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গুরুত্ব পায় সে ব্যাপারেও আমরা নানান ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করব বলে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। পরিকাঠামো উন্নয়ন হলে পর্যটকরা আসবেন আশায় বুক বেধেছেন এলাকার মানুষ।