ষাঁড়াষাঁড়ির ভরা কোটালে বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে দিনগুনছে গ্রামবাসীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ ২৪পরগণা : ষাঁড়াষাঁড়ির ভরা কোটালে বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে দিনগুনছে দক্ষিন সুন্দরবনের শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দঃ দূর্গাপুর গ্রামবাসি । চিনাই নদীর ভাঙা বাঁধে ভরা কোটালের জলে প্লাবনের আশঙ্কা করছে অনেকে । আপতকালিন বাঁধ নির্মানের কাজ না হলেও টাকা উঠেছে বলে দাবি স্থানিয়দের । চিনাই নদীর দীর্ঘিয় মান সুসম্পূর্ন বাঁধের কাজ হয়েছে বলে বসেছে শিল। হয়েছে শিলান্যাসের উদ্বোধন । অথচ ভাঙা বাঁধ ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে জোয়ারের জলে । কখনো বা কোটালের জলে। ভয়ঙ্কর মাটির বাঁধ চিনাই নদীর ঢেউয়ে ভাঙতে ভাঙতে গভীরতা বেড়ে । স্রোতের টানে হারাচ্ছে বাঁধের গাছ। কাজ হবে বলে কাটা হয়ে গাছ । অথচ কোথাও কাজ। প্রশাসনের এমন কাছে ক্ষোভে ফুসছে প্রত্তন্ত এলাকাবাসি । দীর্ঘ দিনের বাঁধ ভাঙার দুস্বপ্ন জরজরিত করে তুলছে দঃদূর্গাপুর বাসীকে । সাধারন মানুষের কথা মাথায় রেখে মহাত্মাগান্ধী জাতীয় গ্রামীন কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের মধ্য দিয়ে আপতকালীন বাঁধ সংস্করনের কথা হয় ঠিকিই । শিবরামপুর গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যদিয়ে নকুল মন্ডলের বাড়ি থেকে কানাই গায়েনের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ মিটার ভাঙা বাঁধের সংস্করনের তোরজর শুরু হয় । সেই মতো ২০১৯-২০২০ আর্থিক বর্ষে ৪লক্ষ্য ১৮হাজার ২০৭ টাকা ব্যায়ে সংস্করন কাজের কথা থাকলেও প্রশাসন কাজ করেনি বলে দাবি গ্রামবাসীদের । অথচ কাজ হওয়ার নামে বসেছে শিল। উঠেছে টাকা ।

চলচি বছরে পূর্নিমার ভরাকোটালে ভয়ঙ্কর রুফ নেই দঃ দূর্গাপুরের চিনাই নদীর বাঁধ । কুড়ি থেকে পঁচিশ মিটার গভীর ভাঙা বাঁধ কোটালের জলে ভয়ঙ্কর রুপ নেই। সংস্করন হওয়ার কথা থাকলেও কেন সংস্কন হলোনা। কয়েক দিন পর ভাদ্রের ষাঁড়াষাঁড়ির কোটাল । হাতেসময় নেই। প্রশাসনের অসহযোগে অন্যত্র পারি দিচ্ছে অনেকে। চাষের জমি বসত বাড়ি আবারো নোনা জলে ক্ষতির আশঙ্কা গুনছেন অনেকে । গ্রামবাসীদের আরো দাবি শুধু প্রকল্পের নামে টাকা উঠেছে তা নয় । গ্রামবাসীদের জবের কার্ড থাকলেও কাজ করতে পারছেনা অনেকে । অনেকে আবার তাদের জব কার্ডের বই থেকে টাকা তুলে নিয়েছে বাঁধের কাজ না করে । সমাধানের দাবি তুলেছেন প্রত্তন্ত গ্রামবাসি । তারা আর্জি রেখে বাঁধ ভাঙলে শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়ে পরবে । যদিও টাকা তোলার বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে রাজনৈতিক চক্রান্ত করে বিজেপি আন্দোলন করছে বলে দাবি করেছে শিবরামপুর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বিরেন্দ্রনাথ গিরি । মুখে কুলুপ এঁটেছে সেচ দপ্তর । প্রশাসনের উদাশিনতা দক্ষিন সুন্দরবনে কতো গ্রাম বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে থাকবে । ইতি মধ্য সুন্দরনবনে পরিদর্শনে এসেছেন রাজ্যর সেচমন্ত্রী ।দক্ষিন সুন্দরবনে শিবরামপুর চিনাইনদীর বাঁধ পরিদর্শনে দেখা মেলেনি সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা থেকে উন্নয়ন পর্ষদের চিয়ারম্যান বঙ্কিম চন্দ্র হাজরার । দক্ষিন সুন্দরবনে বাস সুন্দরবন উননয়ন পর্ষদের চিয়ারম্যান বঙ্কিম হাজরা ।তার নিজের এলাকার মানুষদের কতটা সুরক্ষিত রাখবে । লাখ টাকার প্রশ্ন চিহ্ণ হয়ে পরেছে সাধারন মানুষের কাজে ।