তিনদিন ধরে পলিথিন টাঙিয়ে খোলা আকাশের নীচে দিন গুজরান Tmc নেতার

Tmc
Tmc
তিনদিন ধরে পলিথিন টাঙিয়ে খোলা আকাশের নীচে দিন গুজরান Tmc নেতার
ছবি সংগ্রহ ; সাইন টিভি

 

Tmc পরিচালিত পঞ্চায়েত এলাকার মাত্র এক কিলোমিটার দূরে তিনদিন ধরে পলিথিন টাঙিয়ে খোলা আকাশের নীচে দিন গুজরান করছে এক দিনমজুর দম্পতি।এখনো পর্যন্ত এলাকার কোনো নেতা ও জন প্রতিনিধি তাদের খোঁজখবর নেইনি।পাটশাক খেয়ে অর্ধাহারে,অনাহারে কাটছে তাদের দিন।

 

জানা যায় সোমবার রাত একটা নাগাদ অতি বর্ষনে এক Tmc নেতার বাড়ির ছাদের জল পড়ে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির বড়াডাঙী গ্রামের দিনমজুর বলরাম দাসের একমাত্র জরাজীর্ণ কাঁচা বাড়িটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বলে খবর। ভগবানের কৃপায় অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা ওই দম্পতি।আহত হয়েছেন হত দরিদ্র দিনমজুর বলরাম দাস (৫৫) ও তার স্ত্রী পুষ্প দাস (৪৫)।সোমবার রাত থেকেই পলিথিন টাঙিয়ে দিন গুজরান করছে ওই পরিবার।

 

পরিবারের অভিযোগ, তাদের কাঁচা বাড়ির দেওয়াল লাগুয়া রয়েছে Tmc নেতা ইন্দ্রমহন দাস ওরফে বাঙ্কা দাসের পাঁকা বাড়ি। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে সেই তৃনমূল নেতার ছাঁদের জল তাদের কাঁচা বাড়ির দেওয়ালে সরাসরি পড়ছে।বারণ করতে গেলে পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। এমনকি বেশ কয়েকবার বাড়িতে এসে দলবল নিয়ে পরিবারের লোকেদের মারধর করেছে ওই Tmc নেতা।পুলিশের হুমকিও দিচ্ছে।এখন একমাত্র বসত বাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে আতঙ্কে কাটছে দিন।পাণ নাশের ভয়ে পুলিশকে অভিযোগও জানাতে পারছেন না তারা। অঞ্চল সভাপতি পঙ্কজ কুমার দাসকে বারবার ফোন করেও কোনো সাড়া দেইনি। সাংবাদিক কেনো গেছে তাদের বাড়িতে বলে হুমকিও দিয়েছে সে পরিবারটিকে।এমনি তাদের বাড়ির অবস্থাও জানতে চাইনি বলে অভিযোগ।

 

দিনমজুর বলরাম দাস জানান তার একটি মাত্র কাঁচা বাড়ি ছিল। সোমবার রাতে স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন সেই বাড়িতে।বৃষ্টি চলাকালীন রাত একটা নাগাদ হুড়মুড়িয়ে তাদের উপর বাড়িটা ভেঙে পড়ে।চাপা পড়ে যান তারা।তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে ছেলে,বৌমা ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে কোনোমতে তাদেরকে উদ্ধার করে বলে খবর।জখম হন দম্পতি।টাকার অভাবে এখনো পর্যন্ত চিকিৎসাও করাতে পারেননি তারা।

 

আর ও পড়ুন ;  ২১এর ভোটে হেরেও TMC-কে টেক্কা দিলো CP(I)M, কীভাবে?

 

Tmc নেতা বাঙ্কা দাস জানান তার পাকা বাড়ির ছাদের জল ওর টালির চালে পড়ছিল।তার নিজের ঘরের টালির জল ছিটকে তার ঘরের দেওয়ালে পড়তো।বাঁশের খুঁটি পঁচে গিয়ে সোমবার রাতে তার ঘরটি ভেঙে পড়েছে।তাদেরকে মারধরের অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলে জানান।

 

বিডিও অনির্বাণ বসু জানান পরিবারের কাছ থেকে মৌখিক ভাবে তাদের সব কথা শুনেছে। মঙ্গলবার তাদেরকে পলিথিন ও চাল দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে।সরকারি ভাবে আরো সাহায্য করার আশ্বাস দেন।