কেন দেবী বিসর্জনের আগে নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানো হয় ?

ওড়ানো

কেন দেবী বিসর্জনের আগে নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানো হয় ?   বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের দুর্গাপুজোর আজ শেষদিন। চিরন্তন নিয়ম ভেঙে একাদশী, দ্বাদশীতে বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। কিন্তু জমিদার বাড়ি, বনেদি বাড়িতে আজও নিয়ম মেনে দশমীতেই দেবীর বিসর্জন হয়। ঠাকুর দালান থেকে উমাকে নীচে নামানোর সময়, এবং গঙ্গায় বিসর্জনের সময় নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর রীতি বহু পুরনো। পুজোর নজর কাড়া অন্যান্য নিয়মের মতোই এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি। কিন্তু কেন উমার কৈলাস যাত্রার সময় এই নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হয়।

 

কথিত আছে, বিজয়া দশমীর দিনে নীলকণ্ঠ পাখির দর্শন পাওয়া একটা শুভ লক্ষণ। এই পাখির দেখা পেলে ধনধান্য বা অর্থ ও সম্পদ বাড়ার সুযোগ মেলে। এর ফলে বাড়িতে শুভ কাজ লেগেই থাকে। বনেদি বাড়িতে বলা হয়, ন’দিন মর্তে কাটিয়ে যখন উমা যখন শ্বশুর বাড়ি অর্থাৎ দেবাদিদেব মহাদেবের কাছে ফেরেন, সেই যাত্রার খবর নীলকণ্ঠ পাখি কৈলাসে পৌঁছে দেয়।

 

আর ও  পড়ুন    আজ দশমী, দেবী বরণের সময়সূচী জেনে নিন

 

যাত্রার সময় এই নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর রীতির আরও একটি ব্যখ্যা করা হয়। বলা হয়, নীলকণ্ঠ পাখির দর্শন পাওয়ার পরেই রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন রামচন্দ্র। লঙ্কাজয়ের পর লক্ষ্মণ ও রাম একসঙ্গে শিবের আরাধনা করেন যাতে ব্রাহ্মণ হত্যার পাপ থেকে তাঁরা মুক্ত হন। সে সময় শিব নীলকণ্ঠ পাখির রূপ ধারণ করে মর্তে এসেছিলেন।

 

কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পাখিরদেখা  পাওয়া এখন বেশ কঠিন। আজকাল দেখা পাওয়া যায় না বলেই, নীলকণ্ঠ পাখি ধরা আইনত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ফলে বনেদি বাড়িতে নীলকণ্ঠ পাখি আঁকা ফানুস উড়িয়েই দশমীর এই রীতি পালন করা হয়।

 

উল্লেখ্য, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের দুর্গাপুজোর আজ শেষদিন। চিরন্তন নিয়ম ভেঙে একাদশী, দ্বাদশীতে বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। কিন্তু জমিদার বাড়ি, বনেদি বাড়িতে আজও নিয়ম মেনে দশমীতেই দেবীর বিসর্জন হয়। ঠাকুর দালান থেকে উমাকে নীচে নামানোর সময়, এবং গঙ্গায় বিসর্জনের সময় নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর রীতি বহু পুরনো।

 

পুজোর নজর কাড়া অন্যান্য নিয়মের মতোই এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি। কিন্তু কেন উমার কৈলাস যাত্রার সময় এই নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হয়। কথিত আছে, বিজয়া দশমীর দিনে নীলকণ্ঠ পাখির দর্শন পাওয়া একটা শুভ লক্ষণ। এই পাখির দেখা পেলে ধনধান্য বা অর্থ ও সম্পদ বাড়ার সুযোগ মেলে।

 

এর ফলে বাড়িতে শুভ কাজ লেগেই থাকে। বনেদি বাড়িতে বলা হয়, ন’দিন মর্তে কাটিয়ে যখন উমা যখন শ্বশুর বাড়ি অর্থাৎ দেবাদিদেব মহাদেবের কাছে ফেরেন, সেই যাত্রার খবর নীলকণ্ঠ পাখি কৈলাসে পৌঁছে দেয়।