করোনা আবহে রোজগার নেই শিল্পীদের, খাদ্য ও অর্থ সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন অসহায় শিল্পীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান, ১২ মে, সারা পৃথিবী জুড়ে করোনা ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে নাজেহাল গোটা বিশ্ব। লকডাউনের আবহে কালোমেঘ ঘনিয়েছে সর্বত্র। সেই ভয়াবহতার কাটায় দিশেহারা পূর্ব বর্ধমানের কালনার পূর্বস্থলীর নতুন গ্রামের কাষ্ঠ শিল্প। প্রতিবছরই দুর্গাপূজা উপলক্ষে কলকাতা, হুগলি সহ বিভিন্ন জেলায় পুজো প্যান্ডেল সাজানোর জন্য কাঠের পুতুলের বরাত নিয়ে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে কাজে লেগে পড়েন নতুন গ্রামের শিল্পীরা। কিন্তু এবছর করোনা আবহে শিল্পীদের স্বাভাবিক জীবনে পড়েছে ছেদ। পুজো প্যান্ডেল গুলি ইতিমধ্যেই তাদের বাজেট কাটছাঁট করার কথা জানিয়ে দিয়েছে তাদের। যার ফলে এ বছরের জন্য কোন পুতুল পাড়ি দেবে না দেশ-বিদেশে তথা কলকাতা সহ রাজ্যের অন্যান্য পুজো প্যান্ডেল গুলিতে। পাশাপাশি বিভিন্ন মেলাগুলো বন্ধ করোনা আবহে। যার ফলে ঘরেই ধুলো জমছে নতুন গ্রামের শিল্পীদের হাতে তৈরি কাঠের বিভিন্ন উপকরণে। পাশাপাশি বন্ধ এখন রোজগারও।

দেশ তো বটেই কাঠের পুতুল তৈরী করে অনেক সুনাম কুড়িয়েছে কালনার পূর্বস্থলীর নতুন গ্রামের কাঠের শিল্পীরা।গাছের গুড়ি দিয়ে নানান রকমের পেঁচা ও নানা দেবদেবী সহ রকমারি পুতুল তৈরী করে এই গ্রামের শিল্পীরা।লকডাউনের জেরে এখন মাথায় হাত পড়েছে শিল্পীদের।বরাত পেলেও তা বাতিল করে দিয়েছে অনেকেই। বিক্রি না হওয়ায় খাদ্য ও অর্থ সংকটে পড়েছেন এই গ্রামের মানুষরা।পাশাপাশি রাজ্য সরকারের দেওয়া রেশন নিয়েও আক্ষেপের সুর নতুন গ্রামের শিল্পীদের। তাদের দাবি স্থানীয় ডিলাররা ভুল বুঝিয়ে উপযুক্ত পরিমাণ চাল, গম দেন না শিল্পীদের। কবে উঠবে লকডাউন! কবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে শিল্পীদের খোদাইয়ের কাজ! তা ভেবেই দিন কাটাচ্ছেন নতুন গ্রামের শিল্পীরা।