
ত্রিপুরায় তৃণমূল যুব নেতৃত্ব আক্রান্ত হওয়ার পরই দলের নির্দেশে ত্রিপুরা উড়ে গিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ। এরপর দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তকে গ্রেফতার করার পরই ত্রিপুরায় পৌঁছে যান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তারপর রবিবার সারাদিন থানায় বসে থাকার পর অবশেষে বিকেলের পর দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তকে ছাড়িয়ে রবিবার রাতেই কলকাতা ফেরেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার খোয়াই থানায় অবস্থানের জের, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ৫ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল ত্রিপুরা পুলিশ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, কুণাল ঘোষ ও ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করল খোয়াই থানার পুলিশ। সকলের বিরুদ্ধেই দায়ের করা হয়েছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা।
Tripura case: @abhishekaitc এবং আমরা কোর্ট যেতে বাধা দিইনি।
1) ধৃতদের section জানতে চেয়েছি।
2) এসকর্ট দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ করছি।
3) আইনজীবী আসা পর্যন্ত সময় চেয়েছি।
4) bjp থানা ঘিরেছিল।
4) আমরাই ওদের নিয়ে কোর্টে বেরিয়েছি।
5) কোর্টে সেদিন পুলিশ কোনো এরকম অভিযোগ করেনি।— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 11, 2021
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার আমবাসায় আক্রান্ত তৃণমূল যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, যুব নেত্রী জয়া দত্ত সহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করে খোয়াই থানার পুলিশ। মহামারি আইন ভাঙা সহ একাধিক অভিযোগে যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য, ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত যুব তৃণমূল নেত্রী জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহাকে রবিবার গ্রেফতার করে খোয়াই থানার পুলিশ। এরপরই ধৃত তৃণমূল যুব নেতা-নেত্রীকে ছাড়াতে খোয়াই থানায় পৌঁছান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, কুণাল ঘোষরা।থানার মধ্যেই পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ তাঁদের বাদানুবাদও চলে।
Tripura: অন্যায়ভাবে ধৃত তৃণমূল কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গুচ্ছের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অভিষেক, ব্রাত্য, দোলা, আমি, সুবলদা, প্রকাশদার বিরুদ্ধে IPC 186/34 ধারায় নিজের থেকে মামলা করল খোয়াই থানার পুলিশ।
ভয় পেয়েছে বিজেপি। pic.twitter.com/QHLBbkZTAT— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 11, 2021
জানা যায়, কোন অভিযোগের ভিত্তিতে দলের নেতা-নেত্রীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, থানায় তার নথি দেখতে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে জানা যায়, গ্রেফতারির প্রসঙ্গ তুলে পুলিশের সঙ্গে তরজায় জড়ান কুণাল ঘোষ, দোলা সেনরাও। শেষমেষ ধৃত তৃণমূল যুব নেতা নেত্রীর সকলেরই জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। পাশাপাশি খারিজ করে দেন ধৃতদের বিরুদ্ধে করা অতিরিক্ত মামলাও। এরপর অবশেষে দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তকে ছাড়িয়ে রবিবার রাতেই কলকাতা ফেরেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ৫ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল খোয়াই থানার পুলিশ।
আরো পড়ুনঃ পরীমণিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে, নায়িকার পাশে সোচ্চার গীতিকার গফফর
এবার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ট্যুইটে লেখেন, ‘রবিবারের খোয়াই থানার ঘটনায় অন্যায়ভাবে ধৃত তৃণমূল কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল পুলিশ। ১৮৬/৩৪ ধারায় নিজের থেকে মামলা করল খোয়াই থানার পুলিশ’।
ট্যুইটে কুণাল ঘোষ আরও লেখেন, ‘ভয় পেয়েছে বিজেপি’। তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা আসল হামলাকারীদের গ্রেফতার চেয়েছি। তাদের ছবিও অনেকের কাছে রয়েছে। তার বদলে আক্রান্তরা গ্রেফতার। প্রতিবাদীরা গ্রেফতার। আইন মেনে ছাড়াতে যাওয়ারা গ্রেফতার। ভয় পেয়েছে বিজেপি।’ বলে ট্যুইটে লেখেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।