কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ পরিবহণ ও জলপথ মন্ত্রক রো-রো, রো-প্যাক্স এবং ফেরি পরিষেবার নতুন রুটের চিহ্নিতকরণ 

নয়াদিল্লি, ২১ ডিসেম্বর, ২০২০:কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ পরিবহণ এবং জলপথ মন্ত্রক সাগরমালা কর্মসূচির আওতায় উপকূল বরাবর জাহাজ পরিবহণের প্রসারে ধারাবাহিকভাবে গুরুত্ব দিয়ে আসছে।দেশে বন্দর-কেন্দ্রিক উন্নয়নের প্রসারে মন্ত্রকের ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি হ’ল সাগরমালা।

ভারতের দীর্ঘ ৭ হাজার ৫০০ কিলোমিটার উপকূল বরাবর জাহাজ পরিবহণের প্রসারে এই কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে। একই সঙ্গে, অভ্যন্তরীণ জলপথ ক্ষেত্রের প্রসারেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রক সম্প্রতি হাজিরা, ওখা, সোমনাথ মন্দির, দিউ, দাহেজ, মুম্বাই/জেএনপিটি, জামনগর, কোচি, ঘোঘা, গোয়া, মুন্দ্রা ও মান্ডভি সহ ৬টি আন্তর্জাতিক রুটকে জাহাজ পরিবহণের জন্য চিহ্নিত করেছে। নতুন এই জলপথগুলি ৪টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যের সঙ্গে যুক্ত হবে। এগুলি হ’ল – বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, পূর্ব আফ্রিকার সেশেলস্ ও মাদাগাস্কার এবং শ্রীলঙ্কার জাফনা। ভারতের উপকূল লাগোয়া বড় বন্দর নগরীগুলির সঙ্গে অভ্যন্তরীণ জলপথের মাধ্যমে নতুন এই রুটগুলি দিয়ে ফেরি পরিষেবা শুরু হবে। সাগরমালা ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের মাধ্যমে মন্ত্রক রো-রো, রো-প্যাক্স এবং ফেরি পরিষেবা চালু করতে বিভিন্ন সংস্থাকে উৎসাহ দিয়ে আসছে। সম্প্রতি মন্ত্রক হাজিরা ও ঘোঘার মধ্যে রো-প্যাক্স ফেরি পরিষেবা সাফল্যের সঙ্গে চালু করেছে। এই পরিষেবা শুরু হওয়ার ফলে ঘোঘা ও হাজিরার মধ্যে সড়ক পথে দূরত্ব ৩৭০ কিলোমিটার থেকে কমে ৯০ কিলোমিটার এবং যাত্রা সময় ১০-১২ ঘন্টা কমে প্রায় ৫ ঘন্টা হয়েছে। এমনকি, যাত্রাপথ ও সময় সাশ্রয় হওয়ার ফলে দৈনিক প্রায় ৯ হাজার লিটার জ্বালানী খরচ বাঁচছে। হাজিরা ও ঘোঘার মধ্যে সফল এই জলপথ পরিবহণের বিষয়টিকে বাণিজ্যিক মডেল হিসাবে তুলে ধরে মন্ত্রক জলপথ পরিবহণ ক্ষেত্রে নতুন রুট চিহ্নিত করে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে পরিবহণে উৎসাহ দিয়ে আসছে। উপকূল বরাবর/অভ্যন্তরীণ জলপথ দিয়ে পরিবহণের বিকল্প ও সুস্থায়ী পন্থার প্রসার ঘটাতে মন্ত্রক এই উদ্যোগ নিয়েছে।

আরো পড়ুন…দেশে কমলো করোনা সংক্রমণ