রবিবার থেকে রাজ্যে বাড়বে দুর্যোগ, বৃষ্টির সঙ্গে বইবে ঝড়ো হাওয়া

ঝড়ো

রবিবার থেকে রাজ্যে বাড়বে দুর্যোগ, বৃষ্টির সঙ্গে বইবে ঝড়ো হাওয়া।  বিদায়ী বর্ষা ঝটকা দিতে পারে জোড়া নিম্নচাপের চোঙরাঙানিতে, এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। শুক্রবার দশমীর বিকেল থেকেই আকাশের মুখ ভার হয়ে রয়েছে। দুই সাগরে জোড়া নিম্নচাপের ভ্রূকুটির মধ্যে আরও এক আশঙ্কার পূর্বাভাস জারি হয়েছে। চিন সাগরে তৈরি হওয়া টাইফুন কোমপাসু ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম উপরূলে ধাক্কা খাওয়ার পর বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করতে পারে। ঘূর্ণাবর্তের রূপে বঙ্গোপসাগরে এসে শক্তি বাড়িয়ে পুনরায় ঝড়ের রূপ নিতে পারে।

 

আবহাওয়া দফতর সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পিছু ছাড়বে না বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় ঝড়-জলের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। জোড়া নিম্নচাপের প্রভাবে দ্বাদশী থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মোকাবিলা করতে হবে দক্ষিণবঙ্গকে।  জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে। আর তার পিছু পিছু টাইফুন ঘুর্ণাবর্তের রূপ নিয়ে ধেয়ে আসতে পারে বঙ্গোপগার দিয়ে।

 

এমনিতেই জোড়া নিম্নচাপের জেরে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়। তারপর পিছনে ঘূর্ণাবর্তের রূপ নিয়ে কোম্পাসু পদার্পণ করলে রক্ষা নেই। উত্তাল হয়ে উঠবে বঙ্গোপসাগর। সেই কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে আগামী তিন-চারদিন।

 

আর ও  পড়ুন    দেশে নতুন সূর্যোদয় ঘটবে, কেন বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

 

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। রবিবার থেকে এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া শুরু হয়ে যাবে। হাওড়া, হুগলি ও কলকাতাও এই দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি জেলাও ভাসাবে জোড়া নিম্নচাপ। রবিবার থেকেই উত্তাল থাকবে সাগর।

 

দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে রয়েছে একটি নিম্নচাপ। অন্যটি রয়েছে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। এই নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে দক্ষিণ ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে যাবে। আর পিছনের ঘূর্ণাবর্তটি বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করে শক্তি বাড়িয়ে ঝড়ের রূপ নিতে পারে। এর ফলে রবিবার থেকেই উত্তাল থাকবে সাগর।

 

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগরে তৈরি হওয় টাইফুন ক্রমেই শক্তি হারিয়ে থাইল্যান্ড উপকূলে এসে ঘূর্ণাবর্তা পরিণত হবে। পরে তা মার্তাবান ও আন্দামান উপসগারে প্রবেশ করতে পারে। এমনিতেই আন্দমান উপসাগর ঘূর্ণাবর্তের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি রয়েছে। সেখানে কোম্পাসু প্রবেশ করার অর্থ তা শক্তি বাড়িয়ে ঝড়ে পরিণত হওয়া।