বাসে তল্লাশি চালিয়ে ২০টি তাজা বোমা পুলিস বাজেয়াপ্ত করলো

তল্লাশি

বাসে তল্লাশি চালিয়ে ২০টি তাজা বোমা পুলিস বাজেয়াপ্ত করলো।  দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে ২০টি তাজা ক্রুড বোমা পুলিস বাজেয়াপ্ত করলো। সূত্রের খবর, বর্ধমানের  পানাগড়ের সেনা ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসে তল্লাশি চালিয়ে ২০টি তাজা ক্রুড বোমা বাজেয়াপ্ত করেছে গলসি থানার পুলিস।

 

বোমার কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের নাম মহম্মদ সরফরাজ আনসারি। কলকাতার নাদিয়াল থানার বদরতলা বাগদিপাড়া রোডে তার বাড়ি। বোমা ছাড়াও ধৃতের কাছ থেকে একটি বাসের টিকিট পেয়েছে পুলিস। টিকিটটি ধর্মতলা থেকে পানাগড় পর্যন্ত। ধর্মতলা থেকে বোমা নিয়ে এক যুবক দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসে পানাগড়ের দিকে আসছে বলে সেনা ইন্টেলিজেন্স থেকে গলসি থানাকে খবর দেওয়া হয়।

 

সেইমতো মঙ্গলবার বিকালে কুলগড়িয়ায় জাতীয় সড়কে গার্ড-রেল দাঁড় করিয়ে নাকা চেকিং শুরু করে পুলিস। বাসটি পৌঁছানো মাত্র পুলিস চালককে সেটিকে দাঁড় করাতে বলে। বাস দাঁড়ানোর পর তল্লাশি শুরু করে পুলিস। বাসের সিটের উপরে বাঙ্কে একটি প্রেসার কুকারের বাক্স থেকে বোমাগুলি মেলে। বাক্সটি সেলোটেপ দিয়ে বন্ধ করা ছিল।

 

ঘটনার বিষয়ে বিস্ফোরক আইনের ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে সরফরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য সিআইডির বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়। বুধবার বিকালে কুলগড়িয়া ও বড়মুড়িয়ার মাঝামাঝি একটি নির্জন জায়গায় বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করেন সিআইডির বিশেষজ্ঞরা। এই ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

 

আর ওপড়ুন    আলিপুরদুয়ারে বোল্ডার দিয়ে থেঁতলে চিতাবাঘ খুন, এলাকায় চাঞ্চল্য

 

সরকারি বাসে কিভাবে একজন বোমা নিয়ে উঠল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যাত্রীবাহী বাসে যে কোনও সময় বোমা বিস্ফোরণ হয়ে জীবনহানির সম্ভাবনা ছিল। কি কারণে সরফরাজ বোমা নিয়ে যাচ্ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একজনের নাম পেয়েছে পুলিস। সে-ই তাকে বোমা ভরা বাক্সটি দেয় বলে পুলিসকে জানিয়েছে সরফরাজ।

 

কোনও বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনায় বোমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস। গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও এ বিষয়ে নিজেদের মতো করে তথ্য সংগ্রহ করছে। বুধবার ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে ৫ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতের ৪ দিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন সিজেএম।