ত্রিপুরা নিয়ে কি হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ?

নিয়ে

ত্রিপুরা নিয়ে কি হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?  ত্রিপুয়ার সায়নী ঘোষের গ্রেফতারি নিয়ে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  সোমবার দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল নেত্রী। তখনই জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি ত্রিপুরার পরিস্থিতির কথা জানাবেন। শুধু প্রধানমন্ত্রীকেই নয়। .গোটা দেশজুড়ে ত্রিপুরা নিয়ে তাঁরা প্রচার চালাবেন বলেও ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

এদিন তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরায় BJP শাসিত রাজ্য। হিংসা হচ্ছে। গণতন্ত্রের কঙ্কালটা বেরিয়ে পড়েছে। সায়নীর মতো শিল্পীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অত্যাচারের পর অত্যাচার চলছে সেখানে। অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই রাজ্যের সরকার তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করছে না। জানি না এখন মানবাধিকার কমিশন কোথায় গেল?’

 

এদিন ত্রিপুরায় যাওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি দিল্লি যাচ্ছি। আমাদের সাংসদরা গতকাল থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন। ত্রিপুয়ার অগ্নিগর্ভ অবস্থা। গুন্ডারা পুলিশের সামনেই ঘুরছে। ভোটের নামে প্রহসন চলছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাচ্ছি। অমিত শাহর সঙ্গে আলোচনার জন্য আমাদের সাংসদরা সময় চেয়েছিলেন। তা দেননি। আমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ আছে পরশুদিন। সেখানে এই কথাগুলো বলব।

 

BSF ইস্যুতেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রামণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, BSF-কে ব্যবহার করছে BJP। আমরা তা মেনে নেব না। গায়ের জোরে এলাকা দখল করতে দেব না। BSF-কে নিজের কাজ করতে না দিয়ে পার্টির কাজে লাগাচ্ছে। আমি দিল্লি যাচ্ছি।’

 

আর ও পড়ুন     আজ থেকে রাজ্য জুড়ে ফের বাড়ছে বৃষ্টির সম্ভাবনা

 

উল্লেখ্য, রবিবার সকালেই আগরতলায় সায়নীদের হোটেলে আসে পুলিশ। তাদের অভিযোগ, একজনকে ধাক্কা মেরেছে সায়নী ঘোষের গাড়ি। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ রয়েছে সায়নীর বিরুদ্ধে। তাই সায়নীকে থানায় যেতে হবে।

 

গতকাল থানায় দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসবাদ করার পর গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে। সকাল থেকে সায়নীকে বসিয়ে রেখে বিকেল চারটে নাগাদ আগরতলা পূর্ব থানার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, গ্রেফতার করা হয়েছে সায়নী ঘোষকে। মেডিক্যাল টেস্টের জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার পাস দিয়ে যাওয়ার সময় জোরে গাড়ি চালিয়ে মানুষকে মারার চেষ্টা করেছিলেন।