থানকুনি পাতার রয়েছে যথেষ্ট স্বাস্থ্যগুণ, জেনে নিন বিস্তারীত

পাতার

থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন । থানকুনি পাতা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট উপকার। বিশেষ করে পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতার জুড়ি মেলা ভার।  এই প্রাকৃতিক উপাদানটি আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বেশ জনপ্রিয় হলেও, আধুনিক জীবনে সম্পূর্ণভাবে অবহেলিত হয়েছে। এটি পেট এবং মস্তিষ্কের বিকাশে ক্ষেত্রে দুর্দান্ত কার্যকর।

 

থানকুনি পাতার উপকারিতা

মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়। থানকুনি পাতা মস্তিষ্কের বিকাশের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত উপকারি। থানকুনি পাতা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং বুদ্ধির ধারও বাড়ে। এছাড়াও থানকুনি পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, এতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড বর্তমান। থানকুনি পাতা সেবনে অ্যালঝাইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

 

অবসাদ এবং উদ্বেগ রোধে সহায়তা করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, থানকুনি পাতা মানসিক চাপ, বিষন্নতা, স্ট্রেস রোধের ক্ষেত্রে কার্যকরি। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা স্ট্রেস লেভেল কমায় এবং নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত রাখে।

 

পেটের সমস্যা কমাতে পারে।  পেটের রোগ নিরাময় করতে থানকুনি পাতা দুর্দান্ত কার্যকর। যেকোনও পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। থানকুনি পাতা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। পেটে আলসারের মতো রোগের প্রকোপ থেকেও স্বস্তি দিতে পারে। এছাড়া, পেট খারাপ বা ডায়রিয়ার চিকিৎসাতেও এই পাতাটিকে কাজে লাগানো হয়ে থাকে।

 

স্ট্রেচ মার্ক কমায়। বিভিন্ন গবেষণায় লক্ষ্য করা গেছে যে, থানকুনি পাতা স্ট্রেচ মার্ক কমাতে পারে। মনে করা হয় যে, থানকুনি পাতায় পাওয়া টারপিনয়েড শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। এটি নতুন করে স্ট্রেচ মার্ক তৈরি হতে বাধা দিতে পারে, সেইসাথে বিদ্যমান স্ট্রেচ মার্ক নিরাময়েও সাহায্য করতে পারে। এছাড়া, ক্ষত কিংবা পুড়ে যাওয়া নিরাময়ের ক্ষেত্রেও থানকুনি পাতা কার্যকরী।

 

অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। রাতে ঠিকমতো না হলে থানকুনি পাতা খাওয়া শুরু করুন। থানকুনি পাতাতে একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান বর্তমান, যা স্ট্রেস লেভেল কমাতে সহায়তা করে। এর সাথে স্নায়ুতন্ত্রকেও নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে সহজেই অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।

 

শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, থানকুনি পাতা লিভার এবং কিডনির টক্সিনগুলির উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়।

 

আর ও  পড়ুন    দায়িত্ব নিয়েই নাম না করে চিন ও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন নতুন বায়ুসেনা প্রধান

 

থানকুনি পাতার বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

থানকুনি পাতা শরীরের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে, যেমন- তন্দ্রাচ্ছন্নভাব, মাথা ঘোরানো, বমি ভাব, ত্বকের সমস্যা, প্রভৃতি। এছাড়া গর্ভবতী মহিলা, স্তন্যদানকারী মা, দুধের শিশু, লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি এবং অস্ত্রোপচার হবে কিংবা সদ্য অস্ত্রোপচার হয়েছে, এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে থানকুনি পাতার ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ঘুম বা উদ্বেগের জন্য ঔষধ সেবন করছেন, এমন ব্যক্তিরা অবশ্যই আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর থানকুনি পাতা ব্যবহার করবেন।

 

উল্লেখ্য,

থানকুনি পাতার উপকারিতা

মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়। থানকুনি পাতা মস্তিষ্কের বিকাশের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত উপকারি। থানকুনি পাতা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং বুদ্ধির ধারও বাড়ে। এছাড়াও থানকুনি পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, এতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড বর্তমান। থানকুনি পাতা সেবনে অ্যালঝাইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।অবসাদ এবং উদ্বেগ রোধে সহায়তা করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, থানকুনি পাতা মানসিক চাপ, বিষন্নতা, স্ট্রেস রোধের ক্ষেত্রে কার্যকরি। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা স্ট্রেস লেভেল কমায় এবং নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত রাখে।