প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে ঘটলো অগ্ন্যুৎপাত, টোঙ্গাতে আছড়ে পড়লো সুনামির ঢেউ

প্রশান্ত

প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে ঘটলো  অগ্ন্যুৎপাত, টোঙ্গাতে আছড়ে পড়লো সুনামির ঢেউ । প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে ঘটলো  অগ্ন্যুৎপাত, আর তার ফলেই  দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গাতে আছড়ে পড়লো সুনামির বিশাল বিশাল ঢেউ। অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে হাঙ্গা টঙ্গা-হাঙ্গা হাপাই আগ্নেয়গিরিতে। এটি পুরো দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। আগ্নেয়গিরিটি থেকে টোঙ্গার অবস্থান মাত্র ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে।    মাত্র  আট মিনিট ব্যাপ্তির এই অগ্ন্যুৎপাতের তীব্রতা এতোটাই ছিল যে, অগ্ন্যুৎপাতের আওয়াজ শোনা গেছে প্রায় আটশ কিলোমিটার দূরের ফিজি পর্যন্ত।

 

ফিজির সরকারও সুনামি সতর্কতা জারি করেছে এবং নিচু উপকূলীয় এলাকার মানুষের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে।সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু শেয়ারকৃত ভিডিওতে দেখা যায় একটি চার্চ এবং কয়েকটি বাড়ির ভেতর জলের  স্রোত বয়ে যাচ্ছে । প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টোঙ্গার রাজধানী নুকুয়ালোফার আকাশ থেকে আগ্নেয়গিরির ছাই উড়ে উড়ে পড়তেও দেখা যাচ্ছে।এছাড়াও দেশটিতে সুনামি সতর্কতা জারি করার পরপরই লোকজন উঁচু স্থানে সরে যাবার জন্য ছোটাছুটি করছে।

 

আর ও পড়ুন    রাজ্যে করোনা বিধি নিষেধ জারি থাকবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত

 

টোঙ্গার জিওলজিক্যাল সার্ভিসের পক্ষ থেকে জনানো হয়, এই আগ্নেয়গিরি থেকে উৎক্ষিপ্ত গ্যাস, ধোঁয়া এবং ছাই আকাশের প্রায় ২০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত পৌঁছেছে।এদিকে আগ্নেয়গিরি থেকে প্রায় ২ হাজার ৩শ কিলোমিটার দূরে নিউজিল্যান্ডেও সতর্কতা জারি করেছেন কর্মকর্তারা। নিউজিল্যান্ডের জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলেছে, নর্থ আইল্যান্ডের উত্তর এবং পূর্ব উপকুলে জোরালো এবং অস্বাভাবিক জোয়ার এবং জলোচ্ছ্বাসের আশংকা আছে।

 

 

টউফা আরও যোগ করেন, এরপরই তিনি দেখেন তাদের বাড়িতে স্রোতের মতো পানি ঢুকছে। চারিদিক থেকে কেবল চিৎকার শোনা যাচ্ছিল। লোকজন চিৎকার করে সবাইকে উঁচু জায়গায়, নিরাপদ জায়গায় যেতে বলছিল। নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় এক আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সংস্থার টুইটে জানানো হয়েছে, অগ্ন্যুৎপাতটি যেমন শক্তিশালী ছিল তা অবাক করার মতো। পুরো নিউজিল্যান্ড জুড়েই লোকজন শক্তিশালী আর ভয়ানক আওয়াজ শুনতে পেয়েছে বলেও জানা গেছে।