বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে পিছিয়ে পড়লো ভারত

সূচকে

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে পিছিয়ে পড়লো ভারত। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্থান নামতে নামতে ১০১  এ পৌঁছে গিয়েছে।  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র  মোদীর আত্মনির্ভর ভারত এতটাই ক্ষুধা জীর্ণ যে নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের অবস্থা ভারতের থেকে ভালো। এমনই তথ্য সামনে এসেছে। এর আগে ৯৪ তম স্থানে ছিলো ভারতের।

 

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের ১১৬ টি দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে অনেকটাই এগিয়ে নেপাল, বাংলাদেশ,পাকিস্তান। করোনা কালে গভীর সংকটে ভারত। গত এক বছর ধরে বাণিজ্যে মন্দা চলছে ভারতের। তারই মধ্যে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের অবস্থান চমকে দিয়েছে সকলকে। যে আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলেছিলেন মোদী সরকার। সেই আত্মনির্ভর ভারতে ক্ষুধার জ্বালা চরম আকার নিয়েছে।

 

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১০১ নম্বরে নেমে এসেছে ভারত। প্রতিবেশী তিন দেশ এগিয়ে গিয়েছে ভারতের থেকে। নেপাল, পাকিস্তান, বাংলাদেশের অবস্থা ভারতের থেকে অনেকটাই ভাল। এর আগে ৯৪ তম অবস্থানে ছিল ভারত। তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছে চিন, ব্রাজিল ও কুয়েতের মতো ১৮ টি দেশ। এই চিন থেকেই গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েপড়ে।

 

গোটা বিশ্বের অর্থনীতি যাকে বলে এক বছর ধরে থমকে গিয়েছিল। সেই মহামারীর মধ্যেও দেশবাসীকে অনাহার থেকে রক্ষা করেছে বেজিং। এটাই বড় সাফল্য। এদিতে তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে গোনা হয় যে ব্রাজিলকে সেখানেও কিন্তু ক্ষুধার জ্বালা নেই।

 

কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে নামে দুই সংস্থা যৌথ উদ্যোগে এই তালিকা প্রকাশ করেছে। ক্ষুধা এবং অপুষ্টি এই দুয়ের ভিত্তিতেই এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ১১৬টি দেশের মধ্যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। মূলক চারটি মাপকাঠিতে তালিকা তৈরি করা হয়। অপুষ্টি, পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশুদের উচ্চতার তুলনায় ওজন, পাঁচ বছরের কম শিশুদের উচ্চতা ও পাঁচ বছরের কম শিশুদের মৃত্যু হার। রিপোর্টে কোভিড পরিস্থিতির কথা বিশেষ করে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

 

আর ও  পড়ুন   টাকির বিসর্জন দেখতে এসে হতাশ পর্যটকরা

 

 

তাতে বলা হয়েছে কোভিড পরিস্থিতি বড় প্রভাব ফেলেছে ভারতে। এদিকে ভারতের থেকে অনেক উন্নত অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান। নেপাল রয়েছে ৭৬ তম অবস্থানে। বাংলাদেশ রয়েছে ৭১ তম অবস্থানে আর পাকিস্তান রয়েছে ৯২ তম স্থানে।

 

তবে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার অনেকটাই কমেছে ভারতে। অপুষ্টির হারও অনেকটা কমেছে। তবে কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে ক্ষুধার সংকট কাটিয়ে উঠতে অনেকটাই সময় লেগে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।