শৌখিনতার কারণে দুই দশক ধরে নির্দল প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন বিনয় দাস

নিজস্ব সংবাদদাতা ২ এপ্রিল ২০২১উত্তর দিনাজপুর: মালদহের গনিখান চৌধুরী থেকে শুরু প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সী, দীপা দাসমুন্সী এমনকি বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধেও নির্বাচনে লড়াই করেছেন একজন নির্দল প্রার্থী হয়ে। তিনি বলেন দাঁড়িয়েছিলাম মালদহ পুরসভা নির্বাচন এমনকি উত্তর দিনাজপুর জেলাপরিষদের নির্বাচনেও।

আমি ভোটে জয়ী হওয়ার জন্য দাঁড়াই না। আমি ভোটে দাঁড়াই এটা আমার শৌখিনতা । তবে আমি সাধারন মানুষের কাছে নিজের জন্য ভোট চাইনা, মানুষকে বলি যোগ্যতম প্রার্থীকেই ভোট দিতে। এমনই একজন প্রার্থী যিনি দীর্ঘ দুই দশক ধরে নির্দল প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন তাঁর নাম বিনয় দাস। তবে তাঁর দাঁড়ানোটা আশ্চর্যের বিষয় নয়, আশ্চর্যের বিষয় ও অবাক করার মতো বিষয় হল একজন সাধারন মানুষের নির্বাচনে সম্পত্তি দাখিলের বিষয়টি। তিনি এবারে রায়গঞ্জ বিধানসভা নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে যে সম্পত্তির পরিমান দাখিল করেছেন তা দেখে অনেক প্রার্থীরই চক্ষু চড়কগাছ। তাঁর সম্পত্তির পরিমান দেখিয়েছেন ৬৯৪ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকার। জানিয়েছেন মালদা, আসাম, রায়গঞ্জ, করনদিঘী মিলিয়ে চার জায়গায় বাড়ি ও সম্পত্তির পরিমান ১১০০ কোটি টাকার মতো। কিন্তু তিনি প্রার্থীপদে দাঁড়ান শুধুমাত্র   কারনে। শুধু রায়গঞ্জ বিধানসভা আসনেই নয় আগামীকাল তিনি করনদিঘী বিধানসভা আসনেও নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে চলেছেন৷ তবে তিনি কোথাও জয়ী হওয়ার জন্য দাঁড়াচ্ছেন না। এহেন প্রার্থীকে নিয়ে রায়গঞ্জ তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার ভোটারদের মনে আলাদা কৌতুহল জাগিয়ে তুলেছে।আমি জানি আমি হেরে যাবো তবুও দাঁড়িয়েছি ভোটে নির্দল প্রার্থী হয়ে। এটাই আমার বরাবরের শখ। তাই প্রত্যেকবারই যখন ভোট আসে তখনই আমি দাঁড়িয়ে পরি নির্দল প্রার্থী হয়ে। এমনটাই জানালেন করনদিঘীর বাসিন্দা রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে এবারের নির্দল প্রার্থী বিনয় দাস। যার সম্পত্তির পরিমাণ এখন পর্যন্ত রয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। তবে তিনি এবারের ভোটে যে সম্পত্তির পরিমাণ দেখিয়েছেন তার পরিমাণ ৬৫৪ কোটি টাকা। তিনি জানান গত লোকসভা নির্বাচনেও তিনি দাঁড়িয়েছিলেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে। তিনি বলেন তার জেতার ব্যাপারে কোনো প্রশ্নই আসে না। তবুও ভোটে দাঁড়িয়েছেন তিনি। বিনয় বাবু বলেন যারা রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের মধ্যে তাঁর মতে যোগ্যতম প্রার্থী হলেন কংগ্রেসের মোহিত সেনগুপ্ত। আবার করনদিঘী বিধানসভা আসনে লড়াকু যুব তৃনমূল নেতা গৌতম পালকে ভোট দেওয়ার কথা বলছেন। তিনি বলেন তার পরিবারে কেউ নেই, না আছে বউ না আছে ছেলেমেয়ে। তাই শৌখিনতা থেকে আবেগ বসে তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন তিনি কোন প্রচার করছেন না শুধুমাত্র দাঁড়ানোর জন্যই দাঁড়িয়েছেন তিনি। গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি যখন দাঁড়িয়ে ছিলেন তখন তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৯ হাজার। তিনি তাঁর সহকর্মীদের দ্বারা প্রচার করছেন ঠিকই কিন্তু কাউকে এক কাপ চা ও খাওয়াবেন না তিনি এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুদ্ধে নেমেছেন।

আরও পড়ুন…হোডিং ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জরালো তৃণমূল বিজেপি জখম তৃণমূল কাউন্সিলর