আগরতলায় গ্রেফতার পশ্চিমবঙ্গ যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ

সায়নী

আগরতলায় গ্রেফতার পশ্চিমবঙ্গ যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। পুরসভা ভোটের ঠিক চারদিন আগে   উত্তপ্ত হয়ে উঠলো ত্রিপুরা। গ্রেফতার করা হলো পশ্চিমবঙ্গ যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে। এদিন বিকালে তাকে গ্রেফতার করে আগরতলা থানার পুলিশ। খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাকে। তাকে দীর্ঘক্ষন পুলিশি জেরা করার পর গ্রেফতার করা হয়।

 

ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানা ঘিরে বিজেপির তাণ্ডবের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছেন একাধিক তৃণমূল কর্মী এবং নেতা। এই প্রেক্ষিতে টুইট করে বিপ্লব দেবকে সরাসরি আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

তার কিছু পরেই গ্রেফতার করা হল সায়নী ঘোষকে। জানা যায়, রবিবার সকাল থেকেই আগরতলা পূর্ব থানায় ছিলেন সায়নী ঘোষ। তাঁকে আটক করে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সায়নীর পাশে থাকতে থানাতেই রয়েছেন সুস্মিতা-সহ প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ও কুণাল ঘোষ। সায়নীকে না ছাড়া পর্যন্ত তাঁরা থানাতেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

 

এদিকে বিজেপি-র বিরুদ্ধে থানায় ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতার দাবি, থানার বাইরে লাঠি হাতে, হেলমেট পরে জমায়েত করে বিজেপি। সায়নী থানায় ঢুকতেই আক্রমণ করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযো উঠেছে। উ ‘হিট অ্যান্ড রান’এর অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়নী ঘোষকে নিয়ে যাওয়া হয়। তৃণমূল নেতারা আগরতলা মহিলা থানায় ঢোকার পর ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, তাঁদের থানায় ডেকে এনে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে।

 

এই ঘটনায় তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ত্রিপুরায় জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। এটা পরিকল্পনা মাফিক হামলা। বিজেপি রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছে। সায়নীকে  থানায় ডেকে এনে মেরে ফেলার পরিকল্পনা ছিলো বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সায়নীর বিরুদ্ধে যে মামলা দেওয়া হয়েছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলেও জানান তিনি।  জানা গিয়েছে, আগরতলায় পোলো টাওয়ার হোটেলে হানা দেয় ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকারের পুলিশ।

 

তৃণমূলের দাবি, মহিলা পুলিশ এসে তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে প্রথমে নিয়ে যেতে চায়। সেই সময় বাধা দেন অপর এক তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোট। তিনি সাফ জানতে চান, সায়নীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার নোটিস কোথায়? এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তৃণমূল নেতার। সায়নীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গতকাল তিনি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভা চলাকালীন গাড়ির মধ্যে বসে বিজেপি সমর্থকদের উত্যক্ত করেন।

 

 

যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে পাল্টা দাবি করেন সায়নী ঘোষ। আগরতলার যে হোটেলে সায়নী সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা রয়েছেন সেখানে এদিন সকালেই হানা দেয় আগরতলা থানার পুলিশ। তাদের অভিযোগ সায়নী ঘোষের গাড়ি ধাক্কা মেরেছে এক ব্যক্তিকে। এছাড়াও সভায় কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

 

আর ও পড়ুন  উদ্ধার হরিণের ছাল সহ প্যাঙ্গোলিনের আঁশ

 

এদিকে, তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে কিছুক্ষন আগেই মাথায় হেলমেট পরে বিজেপি কর্মীরা জড়ো হয়েছে পূর্ব আগরতলা থানার বাইরে। দুই দলের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে গেলে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের গাড়ি ভাংচুর করা হয় অলে অভিযোগ। জানা গেছে গুরুতর আহত হয়েছেন নির্মল শর্মা,প্রবীর বৈদ্য,আল্পনা দেব বর্মা এবং রাজেশ সাহা সহ অনেকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি নেতারা। বিজেপি নেতাদের দাবি, থানার বাইরে সাধারন মানুষ জড়ো হয়েছেন।বিজেপির কেউ নয়।