সিসিলিতে উদ্ধার প্রচুর শিশু মমি, রহস্য উদঘাটনে মরিয়া বিজ্ঞানীরা

সিসিলিতে

সিসিলিতে উদ্ধার প্রচুর শিশু মমি, রহস্য উদঘাটনে মরিয়া বিজ্ঞানীরা। তবে অন্তত ২০০ বছর আগে শিশুদের দেহগুলি মমি করে রাখা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এমনকী তাদের কোনও রেকর্ড রাখা হয়নি। বিশেষজ্ঞ দলের এক সদস্যের কথায়, “প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা এই শিশু মমিগুলির মৃত্যুর কারণ নিয়ে স্পষ্ট কোনও সিদ্ধান্তে আসব।” গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ডাঃ স্কয়ারস জানান, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময়ে মমি করা হত দেহগুলো। এই পদ্ধতিটি একমাত্র তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই সংরক্ষিত ছিল। এখন সেখানে মিলেছে দেড়শোর বেশি শিশুদেরও মমি। তবে মৃত্যুর কারণ প্রকৃত ভাবে জানা গেলে বাকি উৎঘাটন করা সহজ হবে বলে।

 

১-২টো নয়, একসঙ্গে ১,২৮৪টি মমি খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল ইউরোপের সিসিলিতে। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে গবেষণা চালিয়েছে বিশেষজ্ঞদের দল। ওই মমিগুলির মধ্যে ১৬৩ মমি ছিল শিশুদের। শিশুদের দেহ কেন মমি করে রাখা হয়েছিল, সেই বিষয়ে এখনও গবেষণা চালানো হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে এখনও কোনও নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি গবেষকরা। আপাতত এক্স রে এবং বিশেষ কিছু প্রযুক্তির সাহায্য এই গবেষনা করা হবে। তবে অন্তত ২০০ বছর আগে শিশুদের দেহগুলি মমি করে রাখা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তিনি আরও জানান, “প্রাথমিক ভাবে আমাদের মনে হচ্ছে এই শিশুগুলো তৎকালীন সমাজে প্রভাবশালী পরিবার কিংবা উচ্চবিত্তদের ছিল।

 

আর ও পড়ুন   মাদকের মামলায় আদালতে হাজির চিত্রনায়িকা পরীমণি

 

কারণ, প্রভাবশালী পরিবারদের দেহগুলো মমি করে রাখা হত। স্থানীয় পূজারী থেকে শুরু করে, অলঙ্কার পরা মহিলাদের মমি এবং পুরুষদের মমিও মিলেছে। পুরুষদের মমির খুব কাছেই মিলেছে শিশুদের মমিগুলো।” বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘সত্য উৎঘাটন হলে আমরা অনেক কিছু জানতে পারব। বিশেষ করে তৎকালীন সমাজে শিশুদের রীতিনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিচয়-সহ অনেক তথ্য সকলের সামনে আসবে। কিন্তু এই সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনও ডেটা না পাওয়ায় প্রাথমিক ভাবে বিষয়টিতে সময় লাগছে।’

 

প্রসঙ্গত, ইউরোপে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি মমি উদ্ধার হয়েছে সিসিলিতে। পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এই এলাকা। সেখানেই মিলেছে এই শিশুদের মমিগুলি, যে গুলি ঘিরে ক্রমশ রহস্যে দানা বিধেছে। বাকি মমিগুলির মধ্যে পুরুষ এবং নারী, এমনকারী তখনকার দিনের পূজারীদের দেহও মিলেছে। তবে শিশুদের কেন মমি করে রাখা হয়েছে, সেই রহস্য আজও উৎঘাটন হয়নি। জানা গিয়েছে, শিশুদের মমিগুলির রহস্য ভেদের জন্য রেডিওগ্রাফের সাহায্য নেওয়া হতে পারে।