শিলিগুড়ির পর্যটনে বিশেষ আকর্ষণ বেঙ্গল সাফারিতে (Bengal Safari) ৪ বছরে ৭ টি বাঘ

Bengal Safari
Bengal Safari
শিলিগুড়ির পর্যটনে বিশেষ আকর্ষণ বেঙ্গল সাফারিতে (Bengal Safari) ৪ বছরে ৭ টি বাঘ
ছবি সংগ্রহে সাইন টিভি

 

 

মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় তৈরী শিলিগুড়ির পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দু বেঙ্গল সাফারি (Bengal Safari) বাঘের সংখ্যা বাড়াতে নজির সৃষ্টি করলো। গোটা বিশ্ব যখন বাঘের সংখ্যা দিন দিন কম হওয়া নিয়ে চিন্তিত, ঠিক সে সময় শিলিগুড়ির কাছে মহানন্দা অভয়ারণ্যে তৈরী বেঙ্গল সাফারিতে চার বছরে বাঘের সংখ্যা ২ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ টি। বেঙ্গল সাফারিতে বাঘেরা বেশ গুছিয়ে বেঁধেছে সংসার।

 

তাদের সেবাযত্নে কোনোও ত্রুটি রাখছেন না কর্মচারীরা। এখানকার বাঘ সহ অন্যান্য জীব জন্তুদের মন ভালো রাখতে রীতিমতো বদল করা হয় এনক্লোজার। স্বতন্ত্র ঘোরাফেরার সঙ্গে মানসিক দিক থেকে যেন মুসড়ে না পরে সে দিকেও নজর রাখেন বনকর্মীরা। নিয়মকরে এনক্লোজার পরিস্কার করা, তাঁদের খাবার দাবার, চিকিত্সা সহ মানসিক দিকটাও খেয়াল রাখা হয় বলে জানান বেঙ্গল সাফারির ডায়রেক্টর বাদল দেবনাথ।

 

যদিও তাঁদের দেখতে নাম পেয়ে মন খারাপ শহরবাসীর। তিনি জানান গতবারে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বাঘের তিনটি ছানার নাম রেখে গিয়েছিলেন। এবারও তারা সেই অপেক্ষায় রয়েছেন। এবারে তিনটি ছানা জন্ম নিয়েছে, তাঁদের বয়স ১ বছর ১২ দিন হয়েছে। এখনও তাদের পর্যটকদের সামনে আনা হয়নি।

 

উল্লেখ্য ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার গঠনের পর থেকে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য এখানকার পর্যটনকে ঢেলে সাজাতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৪ সালে শিলিগুড়ির কাছে মহানন্দা অভয়ারণ্য জুড়ে তৈরী হয় বেঙ্গল সাফারি পার্ক। এই সাফারি পার্কে বিভিন্ন এনক্লোজারে করে রাখা হয়েছে হরিণ, ভাল্লুক, গন্ডার, চিতাবাঘ, বাঘ ছাড়াও বন বেড়াল ও বিভিন্ন প্রকারের ময়ুর সহ অন্যন্য পাখী। রয়েছে কুমির থেকে আরম্ভ করে কচ্ছপ ও।

 

পর্যটকেদের জন্য রয়েছে ইকো ফ্রেন্ডলি সফারি বাস। এই বাসে করেই পর্যটকদের জঙ্গল সাফারি (Bengal Safari) করানো হয়। ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বেঙ্গল সাফারির (Bengal Safari) উদ্বোধন করেন। তারপর থেকে এখানে একে এক আনা হয়েছে বিভিন্ন জীব জন্তু। উদ্বোধনের প্রায় বছর খানেক পর দুটি বাঘ ও চিতাবাঘ আনা হয়। এরপর বেঙ্গল সাফারিতে কর্মচারীদের যত্নে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা।

 

এখন এখানে ছোটো বড় মিলিয়ে ৭ টি বাঘ ও চারটি চিতাবাঘ রয়েছে, যার মধ্যে একটি সাদা বাঘ ও আছে। বেঙ্গল সাফারিতে প্রতিদিন পর্যটক ও স্থানীয় লোকেদের ঢল নামে। এমনকি সকাল সকাল না পৌঁছালে সেখানে সাফারির টিকিট পাওয়া মুশ্কিল হয়ে যায়। শহর লাগোয়া একটি সুন্দর পর্যটন স্থল হওয়ায় স্থানীয় লোকেদের জন্যও এটি একটি বিশেষ আকর্ষনের কেন্দ্র।

 

কিন্তু কোরোনায় গ্রাস করেছে মানুষের আনন্দের সব মুহুর্তগুলো। যদিও কোরোনা সংক্রমণ কমায় রাজ্য সরকার কোবিড বিধি পালনের সঙ্গে একে একে তুলে নেওয়া হচ্ছে বিধি নিষেধ।রাজ্য সরকারের নির্দেশে সোমবার থেকে রাজ্যের শিশু উদ্যান বা বিভিন্ন পার্ক গুলি খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও খোলেনি বেঙ্গল সাফারি। সে সম্বন্ধে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশ আসেনি বলে জানিয়েছেন বেঙ্গল সাফারির ডায়রেক্টর বাদল দেবনাথ।