লক্ষ্মী প্রতিমা বিক্রি না হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন মৃৎ শিল্পীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা ২ নভেম্বর ২০২০ উত্তর দিনাজপুর: লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরী করে তা অবিক্রিত থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন রায়গঞ্জ কাঞ্চনপল্লী, সুভাষগঞ্জের মৃৎ শিল্পীরা। প্রতিমা তৈরী করে বিক্রি না হওয়ায় গুদামে পড়ে রয়েছে। মহাজনের কাছে ঋন নিয়ে প্রতিমা তৈরী করেও সেই প্রতিমা বিক্রি না হওয়ায় কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না কাঞ্চনপল্লী, সুভাষগঞ্জের মৃৎ শিল্পীরা।

করোনা আবহের কারনেই এবার লক্ষী প্রতিমা বিক্রি কম হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।রায়গঞ্জ শহরের কাঞ্চনপল্লী কুমারটুলি হিসেবে পরিচিত।এই কাঞ্চনপল্লীর বাসিন্দা যমুনা পাল। দুই বছর আগে স্বামী নেপাল পালের মৃত্যু হয়েছে। দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার। স্বামীর মৃত্যুর পর চিরাচরিত ব্যবসা প্রতিমা বানিয়ে কোন রকম ভাবে সংসার চালাচ্ছিলেন।কিন্তু বাদ সাধল করোনা সংক্রমন।দীর্ঘ লকডাউনের কারনে প্রতিমা তৈরীর কাজ পুরোপুরি বন্ধই ছিল।উপার্জিত অর্থ দিয়ে কোনক্রমে দিন চালাচ্ছিলেন।বিশ্বকর্মা এবং মনসা প্রতিমা বানিয়ে প্রতিমা বিক্রি করতে পারে নি।দূর্গাপূজায় মানুষের উৎসাহ দেখে ভেবেছিলেন লক্ষ্মীপূজায় হয়ত মানুষের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন থাকবে।সেই আশায় লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরী করে বিপাকে পড়েছেন। পূজার আগে প্রতিমার জন্য কোন ক্রেতা জিজ্ঞাসা করতেও আসে নি।ফলে যে কয়টি লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরী করেছিলেন সবগুলোই কারখানাতেই থেকে গেছে।এই পরিস্থিতিতে তারা কি করবেন ভেবেই পাচ্ছেন না। একই পরিস্থিতি সুভাষগঞ্জের কাকপাড়া গেলেই দেখা মিলবে বাড়িতে বাড়িতে অসংখ্য লক্ষ্মী প্রতিমা পড়ে রয়েছে। মৃৎ শিল্পী বিপ্লব পাল জানিয়েছেন,গতবছর যে পরিমান লক্ষ্মীপ্রতিমা তৈরী করেছিলেন তার অর্ধেক প্রতিমা তৈরী করেও বিপাকে পড়েছেন।গতবছরের এবারে দামে প্রতিমা বিক্রি করেও সেই প্রতিমা বিক্রি করতে পারেন নি। ফলে টাকা লাগিয়ে প্রতিমা তৈরী করে বিক্রি না হওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন তারা।

আরও পড়ুন…পাকার আগেই গাছ থেকে ঝরে যাচ্ছে কমলালেবু মাথায় হাত চাষীদের

দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা এখন কি করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না বিপ্লব বাবুর মত মৃৎশিল্পীরা।এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে এই পেশা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন বলে জানিয়েছেন বিপ্লববাবু।